পাটনা, ২৭ জানুয়ারি: মুম্বইয়ের চিন-ফেরত দুই যাত্রীর পরে এবার বিহারের ছাপড়া ও রাজস্থানের জয়পুরে দু’জন আক্রান্ত হলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। সূত্রের খবর, যে দু’জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা দু’জনেই চিন-ফেরত। ছাপড়ার বাসিন্দা এক তরুণী (Girl From Chapra) চিন থেকে ফেরার পরেই সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হন। পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, টেস্টের পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সব উপসর্গই দেখা গেছে মেয়েটির মধ্যেই। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে দিন দুয়েক আগে চিন-ফেরত দুই যাত্রীর থেকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়ানোর পরে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তর। চিনে বহুদিন বসবাস করার পরে দেশে ফিরেছেন এমন মানুষজন যাঁরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বা সর্দি-জ্বর-কাশি রয়েছে, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জন্য কয়েকটি হাসপাতালে তৈরি হয়েছে বিশেষ ওয়ার্ড, প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিমকে। ভাইরাসের আতঙ্কে দেশের সাতটি বড় বিমানবন্দরে চলছে থার্মাল-স্ক্রিনিং। চিন থেকে আসা ১৩৭টি বিমানের ২৯ হাজারেরও বেশি যাত্রীর স্ক্রিনিং হয়েছে বলে খবর। সামান্য সন্দেহ হলেই তাঁদের আলাদা করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেরল, মহারাষ্ট্রে অন্তত ১০০ জনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Outbreak in China: চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩০০ জন, মৃত বেড়ে ৮০
Ekta Kumari brought to Patna Medical College&Hospital after she showed symptoms similar to #Coronavirus. She says, "Nothing has happened to me, I was released by the airport authorities. My body temperature is around 98 F, I don't have cough. Is this the arrangement in #Bihar?". pic.twitter.com/jREQa0YrM7
— ANI (@ANI) January 27, 2020
করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সারা বিশ্বের (World)। এদেশে তেমন প্রভাব না পরলেও উত্তরের দেশ চিনে (Chaina) ইতোমধ্যে এই মারণ ভাইরাস (Virus) মহামারির আকার নিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল রবিবার দুপুর পর্যন্ত যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৬তে। সেখানে আজ সোমবার সকালের পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০তে। এদিকে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩০০ বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। চিন-সহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল উৎসই হচ্ছে বিষধর চিনা সাপ (Poisonous Chinese Snake) ক্রেইট (Crait) এবং কোবরা বা গোখরো (Cobra)। করোনা ভাইরাস বাতাসে মিশে প্রাথমিকভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির (Bird) শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ করে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে জ্বর (Fever), সর্দি (Cold), শ্বাসকষ্ট (Breathing Problems) উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এর আগে ২০১৯ সালে চিনের হুয়ান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসে। যা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।