বেজিং, ২৭ জানুয়ারি: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সারা বিশ্বের (World)। এদেশে তেমন প্রভাব না পরলেও উত্তরের দেশ চিনে (Chaina) ইতোমধ্যে এই মারণ ভাইরাস (Virus) মহামারির আকার নিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল রবিবার দুপুর পর্যন্ত যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৬তে। সেখানে আজ সোমবার সকালের পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০তে। এদিকে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩০০ বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
চিনা ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস করেছে ভারতকেও (India)। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করা হয় এ নিয়ে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে। আন্তর্জাতিক মহলের আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে চিনের বাইরে আরও পাঁচটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। রোগের হাত থেকে বাঁচতে চিন, হংকং (Hong Kong) থেকে ভারতে ফিরেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক (Citizen)। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে (Airport) তাঁদের থার্মাল টেস্ট করা হচ্ছে। কারোর মধ্যে সংক্রমণের সামান্য আঁচ পেলেও তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। মারণ ব্যাধি মোকাবিলায় তৎপরতার সঙ্গে চিনে হাসপাতাল (Hospital) তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী করোনাভাইরাস জুনোটিক অর্থাত্ দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাস পশুর (Animal) দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের হুবেই প্রদেশের (Hubei Province) উহান শহরের (Uhan Town) একটি সিফুড (Sea Food) এবং বন্যপ্রাণীর (Wild Life) বাজার থেকে অজ্ঞাত কোনও প্রাণীর দেহ থেকে এটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Coronavirus Outbreak: করোনা ভাইরাসের প্রকোপে চিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬
চিন-সহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল উৎসই হচ্ছে বিষধর চিনা সাপ (Poisonous Chinese Snake) ক্রেইট (Crait) এবং কোবরা বা গোখরো (Cobra)। করোনা ভাইরাস বাতাসে মিশে প্রাথমিকভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির (Bird) শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ করে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে জ্বর (Fever), সর্দি (Cold), শ্বাসকষ্ট (Breathing Problems) উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এর আগে ২০১৯ সালে চিনের হুয়ান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসে। যা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।