সংগীত শিল্পী আভা হানজুরা (Photo Credit: Twitter)

বেঙ্গালুর, ৬ আগস্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন তখনই আনন্দে অধীর হয়ে ওঠেন সংগীত শিল্পী আভা হানজুরা। কাশ্মীরি পণ্ডিত আভা সেই নয়ের দশকে উপত্যকা ছেড়েছেন। এখন বেঙ্গালুরু বাসিন্দা তিনি প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, তবে সুয়োগ পেলেই তাঁর মন ফিরে যেতে চায় ভূস্বর্গের দিনগুলিতে। নিদের বাড়ির অলিন্দ যেন আজও তাঁকে ডাকে। কে কতজন কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছেন তিনি জানেন না। তবে বাড়ি ফেরার রাস্তাটা মনে করার চেষ্টা করছেন। আশা রাখেন ফের ফিরতেপারবেন শৈশবের সেই উপবনে। আরও পড়ুন-লাদাখ নিয়ে ভারতের এক তরফা সিদ্ধান্ত মানব না, আসরে নামল চিন

তিন-তিনটে দশক ধরে পুরনো বাড়িঘর, স্বজন, বান্ধবদের ছেড়ে দূরে দূরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন আভা হানজুরা। মা, বাবা, একেবারে কাছের ক’জন ছাড়া কাশ্মীরে তাঁর পুরনো পাড়ার প্রতিবেশীরা তাঁর গলা এখনও শোনেন শুধু গানে। টেলিফোনেও কথা হয় না বিশেষ। কালের নিয়মে হারিয়ে গিয়েছে কত বন্ধু, খেলার সাথী। গত কালের সরকারি পদক্ষেপের খবর পেয়ে আভার মনে পড়ে গিয়েছে সেই তিন দশক আগে শ্রীনগরে তাঁর প্রথম জলসার কথা। বললেন, ‘‘সেটাই আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। প্রায় হাজার তিনেক মানুষ এসেছিলেন।’’ আভার মনে পড়ে যাচ্ছে কাশ্মীরে তাঁর সেই পুরনো বাড়িটার কথা। বললেন, ‘‘ডাক বিভাগে কাজ করতেন বাবা। সারা জীবন চাকরি করে যা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে একটা বাড়ি বানিয়েছিলেন। এ বার হয়তো সেই বাড়িটায় আবার পা দিতে পারব।’’ কেন্দ্রের অমিতবিক্রমী সিদ্ধান্তের পর ফের বাড়ি ফেরার স্বপ্ন দেখছেন আভা হানজুরার মতো অনেকেই।

এক টুইট বার্তায় সেই মনোভাবই প্রকাশ্যে এনেছেন এই সংগীত শিল্পী। বলেছেন, ‘‘আমাদের ঘরে ফেরার রাস্তার বাধাটাধাগুলি এ বার হয়তো সরে যাবে। আমরা হয়তো বাড়ির লোকজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আবার মিলতে পারব। মিশতে পারব। যে সব কাশ্মীরীরা দীর্ঘ দিন ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে দূরে দূরে কাটিয়েছেন, এখনও রয়েছেন, তাঁরাও হয়তো একই স্বপ্ন দেখছেন।’’