শ্রীনগর, ১৪ অগাস্ট: স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে জম্মু থেকে যাবতীয় বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা জানাল প্রশাসন। দিন দশের সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে জম্মু স্বাভাবিক অবস্থা ফিরছে। কার্ফিউ তুলে নিয়ে, ফোন-ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে জম্মুকে ছন্দে ফেরানো হচ্ছে। তবে কাশ্মীরে এখনও বিধিনিষেধ থাকছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে জম্মু এবং কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডায়রেক্টর জেনারেল (এডিজিপি) মুনির খান (Munir Khan) জানালেন এই কথা।জম্মুতে ফোন লাইন, ইন্টারনেট কানেকশন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। কার্ফুউ সম্পূর্ণভাবে উঠে যাচ্ছে।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা কাড়ার পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ ভূ স্বর্গ। টেলিফোন-ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন জম্মু-কাশ্মীর। গত ৪ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। এর সপ্তাহ খানেক আগে থেকে মোট ৩৫ হাজার আধা সেনা মোতায়েন করা হয় সেখানে। সেদিনই রাতে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয় রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিকে। আরও পড়ুন-পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে কোলে বসিয়ে গোপনাঙ্গে হাতে গৃহশিক্ষকের, নাবালিকার আর্তনাদে ধরা পড়ল অভিযুক্ত
ভূ স্বর্গে যাতে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্যই এসব করা হয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি ছিল। এরপর গত ৫ অগাস্ট সংসদে জম্মু-কাশ্মীর পুর্নগঠন বিল পাশ করা হয়। সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মযার্দা কেড়ে নেওয়া হয়। ভূ স্বর্গকে দুভাগে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখকে পৃথক করা হয়। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নয়া দিল্লিতে বসে যখন ভূ স্বর্গকে নিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন জম্মু-কাশ্মীর অবরুদ্ধ থাকল। ফোন-ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের কতা শোনা যাচ্ছে না। তাদের স্বাভাবিক জনজীবনও যে ব্যাহত হচ্ছিল সেটাও বোঝা যাচ্ছিল। অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছিল নাান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। প্রশাসন অবশ্য সে সব গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছিল।