শ্রীনগর, ৩ এপ্রিল: মারণ রোগ করোনাভাইরাসের কবলে গোটা দেশ। লাফিয়ে বাড়চে মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ এডাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারের একটাই লক্ষ্য ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে করোনা যেন কিছুতেই গোষ্ঠী সংক্রমণ করতে না পারে। কিন্তু অনেকেই সরকারি নির্দেশিকা না মেনে অভব্য ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ। বাইরে ঘোরাঘুরি, পুলিশকে হেনস্তা, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সবই রয়েছে তারমধ্যে। ভূস্বর্গ কাশ্মীরের করোনার থাবা পড়েছে। সংক্রমণ এড়াতে জম্মু ও কাশ্মীররে প্রশাসন (Jammu and Kashmir Administration) নয়া পন্থা চালু করতে চলেছে। তা হল, শ্রীনগরের অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য সামগ্রীর দোকান থেকে বাসিন্দাদের প্রয়োজন মতো বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। পুলিশ হোম ডেলিভারি দেবে।
জানা গিয়েছে, দোকান থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দে পুলিশ। খুব সামান্য টাকায় এই সরবরাহ প্রক্রিয়া চলবে। তাহলে আর বাসিন্দাদের বাইরে বেরোনোর দরকার পড়বে না। সংক্রমণ রোখা যাবে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও দোকানদার এই কাজে প্রশাসনকে সহায়তা না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীর মার্কিন দূতাবাসের (US Embassy) এক কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ। শুক্রবার দূতাবাসের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এ-ও জানানো হয়েছে যে ওই কর্মীর সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়েছে। তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা বিষয়টির উপরে নজর রেখেছেন। আরও পড়ুন-US Embassy Employee Tests Positive: দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ, তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আক্রান্ত কর্মী যাতে সঠিক চিকিৎসা পান সেজন্য ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।” দিল্লিতে সবমিলিয়ে ৩০০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। এখন দেশের সব থেকে কারাব অবস্থায় রয়েছে রাজধানী। দূতাবাসের বিবৃতিতে স্পষ্ট বাল হয়েছে, আক্রান্ত কর্মীর নাম বা অন্যান্য তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে না। তাঁর নিরাপত্তার খাতিরেই এসব করা হয়েছে।