নতুন দিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর: লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (FM Nirmala Sitharaman) উদ্দেশ্য করে একাধিক প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। লকডাউনের সময়ে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার সুবিধা রাজ্য কেন পায়নি তা অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, কেন্দ্র যে ১১৬ টি জেলায় প্রকল্প রূপায়ণ করেছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলার নাম নেই। মুর্শিদাবাদেরও নাম নেই। বলা হয়েছে, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়়িশা ও ঝাড়খণ্ডেই নাকি সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। কেন এমন হল, 'আমি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট জবাব চাইছি'।
এর উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান,“পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবেই এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। কেন্দ্র ঠিক করেছিল, ৩০ মে পর্যন্ত কোনও জেলায় ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরলে সেই জেলাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে এমন কোনও তথ্য আসেনি। কোনও তথ্য আসেনি। পরিযায়ী শ্রমিকরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছিলেন কিনা, তাদের আদৌ ফিরতে দেওয়া হয়েছিল কিনা, ফিরলে কতজন ফিরেছিলেন—কোনও তথ্যই রাজ্য সরকার দেয়নি। রাজ্য সরকার যদি তা না দেয় তা হলে কেন্দ্র কী করে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ণ করবে”। আরও পড়ুন, টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির
I want to ask our Finance Minister Nirmala Sitharaman what is the need for creating a parallel fund when we already have PMNRF?: Congress MP Adhir Ranjan Chowdhury in Lok Sabha pic.twitter.com/norAXTvBKR
— ANI (@ANI) September 19, 2020
পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, গালওয়ান সংঘর্ষ চলাকালীন ভারত-চিন যখন উদ্বিগ্ন ছিল সেসময় কেন চিনা ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া হয়েছিল? এপ্রিল মাসের পর থেকে কত টাকা চিনা ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেন তা অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান কংগ্রেস সাংসদ। গালওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে চিনা অ্যাপ থেকে চিনা সামগ্রী সমস্ত কিছু নিষিদ্ধ করা হলে চিনা ব্যাংক থেকে অর্থ ঋণ নেওয়া কেন জারি রেখেছিল ভারত সরকার? এই প্রশ্নই তোলেন অধীর চৌধুরী।