চেন্নাই, ১৮ সেপ্টেম্বর: কোনও ভাষাকেই জোর করে দেশবাসীর উপরে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। সারা ভারতে কোনও একটি নির্দিষ্ট ভাষা চালু থাকলে হয়তো একতা আরও দৃঢ় হত, তবে জনগণকে কোনও ভাষা ব্যবহার করতে বাধ্য করা উচিত নয়। আর সমগ্র দাক্ষিণাত্য তো হিন্দিকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে মানবেই না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah)হিন্দিকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এতদিনে মুখ খুলে একথাই বললেন অভিনেতা রাজনীতিক রজনীকান্ত (Rajinikanth)। এদিন তিনি বলেন, “জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। শুধু হিন্দি কেন, কোনও ভাষাই বলতে বাধ্য করা উচিত নয়। শুধু দক্ষিণ ভারতই নয় সমগ্র উত্তর ভারতও কোনও একটি ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে গ্রহণ করবে না।”
বিশিষ্ট দক্ষিণী অভিনেতা আরও বলেন, “একটি রাষ্ট্রীয় ভাষা কোনও দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ভারতে একটি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া সম্ভব নয়। আবার জোর করে একটি ভাষাকে গোটা দেশের উপরে চাপিয়ে দেওয়াটাও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।” এদিকে অমিত শাহর মন্তব্যে বেজায় চটেছে তামিলনাড়ুর প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডিএমকে ও পিএমকে। দুই দলের মতে জোর করে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দিতে গেলে গোটা দেশের জন্যই তা বিপজ্জ্নক হয়ে উঠবে। বেশিরভাগই এই নিয়ম মানবে না, একটা অরাজকতার সৃষ্টি হবে। আরও পড়ুন-হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হবে না, অমিত শাহর প্রস্তাবকে পাত্তাই দিলেন না বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা
এমএনএম নেতা কমল হাসান তো বলেছেন, “২০১৭-র জাল্লিকাট্টু বিক্ষোভকেও ছাড়িয়ে যাবে হিন্দি ভাষা চাপানোর বিরোধী আন্দোলন। এমনিতেই বৈচিত্রে মধ্যে ঐক্যকে মান্যতা দেওয়া হবে, দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বাস দিয়েই ভারতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই এখন কোনও শাহ, সুলতান, সম্রাটকে এই বিষয়টি নিয়ে ফের পর্যালোচনা করতে হবে না। আমরা প্রত্যেকটি ভাষাকেই সম্মান করি ঠিকই তবে তামিল ব্যাতীত অন্য কোনও ভাষা আমাদের মাতৃভাষা হতে পারে না। ভাষার জন্য যদি আন্দোলন হয় তবে তা বৃহত্তর হবে। জাল্লিকাট্টু বিক্ষোভ সেখানে নস্যি।” বিজেপি শাসিত কর্ণাটকও হিন্দির বিরোধিতায় সরব সেখানে রাজ্যের শাসক দল থেকে বিরোধী প্রত্যেকেই কন্নড় ভাষা ছাড়া অন্যকিছুকে ভাবতেই রাজি নয়।