নতুন দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: সংঘর্ষে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এবার সেই সংঘর্ষে কিনা আক্রান্ত আধাসেনারা। সিএএ সমর্থকরা (CAA) এতদিন শুধু সংখ্যালঘুদের ঘর জ্বালিয়ে, তাদের মেরে তাড়ানোর চেষ্টা করছিল। এবার যারা পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে তারাও হামলার শিকার হচ্ছে। এতদিন লাঠি, গুলি, বোমা, থান ইট ছিল হামলাকারীদের অস্ত্র। এবার যোগ হল অ্যাসিড। দিল্লিতে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে অ্যাসিড হামলার শিকার হলেন দুই আধাসেনা, মুখে ও হাতে দগদগে ক্ষত নিয়ে এখন রাজধানীর তেঘ বাহাদুর হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুজনে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে প্রমাদ গুনেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহর কেরালা সফর বাতিল হয়েছে। দফায় দফায় বৈঠকও করছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) পদে আনা হয়েছে এসএন শ্রীবাস্তব নামে এক আইপিএস কর্তাকে। তাঁর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকে পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে কোনও দোষী যেন ছাড় না পায়। গতকাল অ্যাসিড হামলার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির করওয়াল নগরে। জানা গিয়েছে, সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে সেই এলাকায় গিয়েছিল আধাসেনা। তখন আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে তাদের উপর অ্যাসিড ছোড়া হয়। এদিকে দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মধ্যরাতেই বসল হাইকোর্ট (Delhi High Court)। শুনানিতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হল আহতরা যেন সঙ্গে সঙ্গেই সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পায়। সেদিকে নজর রাখতে হবে। আরও পড়ুন-Delhi High Court In Midnight Hearing On Violence: রাজধানীতে সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে মধ্যরাতেই বসল দিল্লি হাইকোর্ট
Acid thrown on Para Military forces in Delhi by these jihadi's.
And they call it Police Brutality.
This is sick & shameful.#DelhiBurning pic.twitter.com/icaI10YOrL
— Vaishali Poddar (@PoddarVaishali) February 25, 2020
পুলিশই গোটা বিষয়টি দেখভাল করবে, এমনই নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরের বাড়িতেই বসেছিল এই বিশেষ বৈঠক। বিচারপতি জিএস সিসতানির নির্দেশে সেখানে বৈঠকে বসেন বিচারপতি এস মুরলীধর ও অনুপ ভাম্ভানি। রাহুল রায় নামের একজনের আবেদন ছিল দিল্লি সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার দ্রুত বন্দোবস্ত চাই। এটি নিশ্চিত করার জন্য দিল্লি পুলিশকে তাদের সব রিসোর্সকে কাজে লাগানোর কথা বলেছে আদালত। জখমদের চিকিত্সায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা জানিয়ে আদালতে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও পেশ করতে বলা হয়েছে পুলিশকে।