রাজধানীতে সংঘর্ষের ছবি (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মধ্যরাতেই বসল হাইকোর্ট (Delhi High Court)। শুনানিতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হল আহতরা যেন সঙ্গে সঙ্গেই সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পায়। সেদিকে নজর রাখতে হবে।  পুলিশই গোটা বিষয়টি দেখভাল করবে. এমনই নির্দেস দিল্লি হাইকোর্টের। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরের বাড়িতেই বসেছিল এই বিশেষ বৈঠক। বিচারপতি জিএস সিসতানির নির্দেশে সেখানে বৈঠকে বসেন বিচারপতি এস মুরলীধর ও অনুপ ভাম্ভানি। রাহুল রায় নামের একজনের আবেদন ছিল দিল্লি সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার দ্রুত বন্দোবস্ত চাই। এটি নিশ্চিত করার জন্য দিল্লি পুলিশকে তাদের সব রিসোর্সকে কাজে লাগানোর কথা বলেছে আদালত। জখমদের চিকিত্‍‌সায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা জানিয়ে আদালতে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও পেশ করতে বলা হয়েছে পুলিশকে।

জানা গিয়েছে, আহতদের মূলত ভর্তি করা হয়েছে গুরু তেঘ বাহাদুর ও লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানকার মেডিক্যাল সুপারদেরও এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুর ২.১৫-তে ফের এই মামলার শুনানি করবে দিল্লি হাইকোর্ট। এদিকে দিল্লির চার জায়গায় জারি হয়েছে কারফিউ। সেইসঙ্গে জারি হল 'শ্যুট অ্যাট সাইট' (দেখা মাত্র গুলি)-এর অর্ডার। মৌজপুর, চাঁদবাগ, করওয়ালনগর, জাফরাবাদে জারি হয়েছে কারফিউ। উসকানিমূলক মন্তব্য করলেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এসএন শ্রীবাস্তবকে স্পেশাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আহতের মধ্যে ডিসি (শাহদরা) অমিত শর্মাও বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি। হিংস্র জনতা তাঁর উপরে লাঠি নিয়ে চড়াও হয়েছিল। তাঁর মাথার খুলিতে চোট লেগেছে। পুলিশ বাহিনীর অন্তত ৫০ জন আহত। ছাড় পাননি সাংবাদিকরাও। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এটা ‘হিন্দুয়োঁ কি লড়াই’। অতএব ছবি-ভিডিও তোলা যাবে না। তিন সাংবাদিক মারের চোটে হাসপাতালে ভর্তি। আরও পড়ুন-NSA Ajit Doval In Delhi: রাজধানীকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে অজিত ডোভাল, রাতেই গেলেন সংঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকায়

অন্যদিকে রাজধানীর পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে আসরে নামলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (NSA Ajit Doval)। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে কার্যত জ্বলছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। এ দিন হাসপাতালে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এক পুলিশ কর্মী-সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩। আহত দেড় শতাধিক। সন্ধ্যার দিকে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে জারি হয়েছে কার্ফু। গুলি, কাঁদানে গ্যাস, ইট-পাটকেল ছোড়া থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষে মঙ্গলবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।