আক্রান্ত চিকিৎসক সঞ্জিবনী (Photo Credits: ANI)

সুরাট, ৭ এপ্রিল: সুরাট সিভিল হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেই হাসপাতালে কর্মরতা চিকিৎসককে (Surat Doctor) বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিল উত্তেজিত জনতা ও প্রতিবেশীরা। আক্রান্তের নাম ডাক্তার সঞ্জিবনী। অভিযোগ, তিনি সুরাটের যে আবাসনে থাকেন, সেখানকার বাসিন্দারাই তাঁর উপরে অত্যাচর চালিয়েছে। সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগালি। বাসিন্দাদের মতে ডাক্তার সঞ্জিবনীও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। তিনি প্রতিদিন ভাইরাস নিয়ে আবাসনে ফিরছেন। তাই তাঁকে আবাসনে থাকতে দেওয়া হবে না। হাসপাতালেই ফেরত যেতে বলেছে বাসিন্দারা। তাদের দাবি, ওই মহিলা চিকিৎসকের কারণে গোটা আবাসন আক্রান্ত হতে পারে। এদিকে ডাক্তার সঞ্জিবনী বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসক মাত্র। সেখানে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্তেরও চিকিৎসা হচ্ছে।

তিনি প্রতিবেশীদের এও বলেছেন, “আমি সংক্রামিত হলে নিশ্চয় হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরব না। প্রতিবেশীরা আমাকে কটূকথা শোনানোর পাশাপাশি হুমকিও দিয়েছে। পুলিশে জানিয়েছি। পুলিশ এসে আমাকে সমর্থন করেছে।” রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। এমনটাই জানিয়েছে এএনআই। সংবাদ সংস্থাকে এই তথ্য দিয়েছেন চিকিৎসক সঞ্জিবনী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, চিকিৎসকদের এই ধরনের অপ্রীতিকর ব্যবহার পেতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে। যেহেতু করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একেবারে সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়াই চালাচ্ছেন। তাই তাঁদেরকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। ভারত যখন মহামারী করোনাকে রুখতে লড়াই করচে ভারত। আর একারণে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সাধারণ মানুষের দ্বারা হেনস্তার শিকার হচ্ছে। তাই তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। আরও পড়ুন-India Supply Hydroxychloroquine & Paracetamol: মহামারী করোনাকে রুখতে মানবিক কারণে বিধ্বস্ত দেশগুলিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল পাঠাবে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক

চলতি মাসেই করোনা আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে গিয়ে পাঁচ জনের ছোঁড়া পাথরে আহত হন দুই মহিলা চিকিৎসক। কলকাতাতেও জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে কাজ করতে আসা নার্সরা মেস, পিজিতে থাকেন। তাঁদেরকেও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোটা বিষয়টির দিকে কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।