picture courtesy: ANI twitter

চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড়ের এয়ারফোর্স স্টেশনে (Chandigarh Air Force Station) মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে ৯০তম ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস (90th-anniversary celebrations)। এই প্রথম দিল্লির (National Capital Region) বাইরে পালিত হচ্ছে বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর পাশাপাশি এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন অন্য দুই বাহিনীর প্রধান-সহ একাধিক সেনা আধিকারিকরা।

চণ্ডীগড় এয়ারফোর্স স্টেশনে মূল অনুষ্ঠান মঞ্চ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে বায়ুসেনার অতীত গৌরবের বিষয়টি তুলে ধরেন চিফ এয়ার মার্শাল (IAF chief)। এপ্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের পূর্বসরীদের কঠোর পরিশ্রম, দূরদৃষ্টি ও অধ্যবসায়ের ফলে আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি আমরা। আজ আমাদের সেই সমস্ত পূর্বসূরীদের কথা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করতে হবে যাঁরা এই মহান বাহিনীকে তৈরি করেছিলেন। এখন আমাদের কর্তব্য হল সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় বায়ুসেনাকে গৌরবময় ১০০ বছরে পদাপর্ণ করানো।"

বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অনুষ্ঠানটি এয়ারফোর্স স্টেশনে হলেও সুকনা লেকে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার প্রচণ্ড এবং অন্য বিমানের মহড়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন পুরনো বিমান ছাড়াও থাকছে Rafale, Su-30 ছাড়াও Mirage 2000-এর মতো যুদ্ধবিমান। দেখা যাবে জাগুয়ার এবং বিভিন্ন সামরিক হেলিকপ্টারও।

১৯৩২ সালের ৮ অক্টোবর ব্রিটিশ শাসিত ভারতে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ারফোর্সকে সাহায্য করার জন্যই এই বাহিনী তৈরি করেছিল ব্রিটিস শাসকরা। সেইসময় ভারতীয় বায়ুসেনার কৃতিত্বের কথা মাথায় রেখে ব্রিটিশ শাসকরা রয়্যাল উপাধিও প্রদান করে। পরে ১৯৫০ সালে সেই উপাধি নিজেদের নাম থেকে সরিয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপর ১৯৬০ সালে কঙ্গোতে প্রচুর সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৬৫ সালের দ্বিতীয় কাশ্মীর যুদ্ধে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের পর বালাকোটে বিমানহানা এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার সময়ও ভারতীয় বায়ুসেনাকে কুর্নিশ জানিয়ে ছিলেন সমস্ত দেশবাসী।