শাহিন বাগ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২১ ফেব্রুয়ারি:  সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের মাইলস্টোন হয়ে গিয়েছে শাহিন বাগ। মহিলাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান। আর এই অবস্থানেই ভয় পেয়েছে শাসক। দিল্লিতে ভোটের আগে বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের বিবিধ মন্তব্য দেখলেই তা ভালমতো টের পাওয়া যায়। একদিন দুদিন নয়, দীর্ঘ ৬৯ দিন পর অবশেষে খুলল নয়ডা-ফরিদাবাদ রোড (Noida-Faridabad Road Reopens)। শাহিন বাগ আন্দোলনের কারণে দু-মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল এই রাস্তা। সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। সাধনা রামাচন্দ্রন এবং সঞ্জয় হেগড়ের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই শুক্রবার সকালে খুলে দেওয়া হল নয়ডা-ফরিদাবাদ রোড। রাস্তার একটা অংশ খোলায় যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এতদিন এই রাস্তা বন্ধ থাকায় নয়ডা দিল্লি ফ্লাইওয়ের উপর চাপ বাড়ছিল।

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আন্দোলন হতেই পারে, কিন্তু সেটা সাধারণ মানুষের সমস্যা করে নয়। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামচন্দ্রণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। আন্দোলনকারীদের যেমন প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে, সেরকম নিত্যযাত্রীদেরও রাস্তা ব্যবহারের অধিকার রয়েছে বলে জানান মধ্যস্থতাকীরা। অন্য কোথাও আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তাঁরা। তাঁদের পরামর্শ মেনে অবশেষে শুক্রবার সকালে এই রাস্তা খুলে যাওয়ার ফলে দিল্লি-নয়ডা ফ্লাইওভারের বদলে এই রাস্তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে। তবে শাহিন বাগের আন্দোলন কিছুমাত্র পিছু হটছে না বলে জানানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে শাহিন বাগে শুরু হয়েছিল নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন। এর ফলে দিল্লি থেকে নয়ডা যাওয়ার ১৩এ রোড বন্ধ হয়ে যায়। এই আন্দোলনের জন্য অন্য কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেয় দিল্লি পুলিশও। ফলে নয়ডা, দিল্লি ও ফরিদাবাদের মধ্যে যাত্রী চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যারই কিছুটা সমাধান হল। আরও পড়ুন-Nirbhaya Case: ফাঁসি আটকাতে নয়া খেল, মণীশ সিসোদিয়া নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন অভিযোগ তুলে কমিশনে নির্ভয়ার ধর্ষক বিনয় শর্মা

বুধবারই শাহিন বাগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত মধ্যস্থতাকারী। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশের মুখ হয়ে উঠেছে শাহিন বাগ আন্দোলন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা এই সমস্যার কথা বোঝান। সেইসঙ্গে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশের কথাও তাঁদের বলেন। তারপরেই একদিকের রাস্তা খুলতে রাজি হন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু যতদিন না নাগরিকত্ব আইন তুলে নেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা শাহিন বাগের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।