নতুন দিল্লি, ৩১ অক্টোবর: ২০২০ সালে প্রতিদিন গড়ে ৩১ জন শিশু (Children) (১৮ বছরের কম বয়সি) আত্মহত্যা (Suicide) করেছে ভারতে। সরকারি তথ্যে এই চমকে উঠার মতো খবরটি জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে কোভিড অতিমারি শিশুদের মানসিক ট্রমাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (National Crime Records Bureau) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ১১ হাজার ৩৯৬ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৩৯২ জন ছেলে, বাকি ৬ হাজার ৪ জন মেয়ে। অর্থাৎ ২০২০ সালে প্রতিদিন ৩১ জন বা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে। ২০১৯ ও ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯ হাজার ৬১৩ ও ৯ হাজার ৪১৩।
এনসিবি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, পারিবারিক সমস্যা, প্রণয় ঘটি, অসুখ হল শিশুদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ। অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মতাদর্শগত কারণ বা বেকারত্ব, দেউলিয়া, পুরুষত্বহীনতা বা বন্ধ্যাত্ব এবং মাদকাসক্তি। আরও পড়ুন: Rajib Banerjee: ডোমজুড়ের নেতার 'ঘরওয়াপসি' ত্রিপুরায়, ভুল করেছিলাম বলে তৃণমূলে ফিরলেন রাজীব ব্যানার্জি
চাইল্ড প্রোটেকশন, সেভ দ্য চিলড্রেনে ডেপুটি ডিরেক্টর প্রভাত কুমার বলেন, কোভিড, এর জেরে স্কুল বন্ধ এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, প্রবীণদের উদ্বেগ মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং এটিকে সামনে নিয়ে এসেছে। আমরা একটি সমাজ হিসাবে জাতীয় মানব সম্পদ তৈরির জন্য শিক্ষা এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো বাস্তব বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন, কিন্তু মানসিক সুস্থতা বা মনো-সামাজিক সমর্থনের ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। যার কারণে শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যা ক্রমবর্ধমান, যা আমাদের ব্যর্থতাকে প্রতিফলিত করে।
তিনি আরও বলেন, "শিশুরা প্রায় ২ বছর ধরে গৃহবন্দি, বন্ধু, শিক্ষকদের সঙ্গে সেই ভাবে মেলামেশা করেনি। তাদের সম বয়স নয়, এমন লোকজনের সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়েছে। যার কারণে প্রচণ্ড মানসিক চাপ এবং ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে শিশুরা। অনেকেই আবার প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে গেছে। অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃত্যু দেখেছে এবং পারিবারিক স্তরে সংক্রামনের ভয় এবং গভীর আর্থিক সংকটের প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছে।