Parliament Building. (Photo Credits: Twitter)

নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর: ১৯ বছর আগে আজকের দিনেই সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলা (2001 Parliament Attack) হয়েছিল। সংসদে হওয়া ওই হামলায় গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে গেছিল। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ জন জঙ্গি সংসদ ভবনে হামলা করে। এই হামলায় ৮ জন সুরক্ষা কর্মী আর একজন মালি শহিদ হয়েছিলেন। সংঘর্ষে ৫ জঙ্গিরও নিহত হয়। আজ সংসদ ভবনে হামলায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তিনি টুইটারে লেখেন, "২০০১ সালের আজকের দিনে আমাদের সংসদে কাপুরুষোচিত আক্রমণ হয়েছিল। এটা আমরা কখনই ভুলব না। যারা আমাদের সংসদ রক্ষায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের বীরত্ব ও ত্যাগের কথা আমরা স্মরণ করি। ভারত সর্বদা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।"

২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে চড়ে সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। হামলার ঠিক চল্লিশ মিনিট আগে রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয়ই মুলতুবি হয়ে গেছিল। তবে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হারীন পাঠক সংসদ ভবনের মধ্যেই ছিলেন। জঙ্গিরা গাড়ি নিয়ে সোজা তৎকালীন উপ রাষ্ট্রপতি কৃষণ কান্তের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে ও বেরিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। উপ-রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ও নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পালটা গুলি চালায়। তারপর সংসদ চত্বরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। মহিলা কনস্টেবল কমলেশ কুমারী প্রথম জঙ্গি স্কয়্যাডটির আত্মগোপনের স্থানটি চিহ্নিত করেন। সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত এক জঙ্গিকে গুলি করা হলে ভেস্টটি বিস্ফোরণ হয়। অপর চার জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের গুলিতে ৮ জন নিরাপত্তাকর্মী সহ ৯ জন নিহত হন। আহত হন মোট ১৮ জন। আরও পড়ুন: JP Nadda: ধুতি, টোপর পরে জেপি নাড্ডা! বিবাহবার্ষিকীতে এই ছবিই শেয়ার করলেন বাঙালি সহধর্মিনী মল্লিকা ব্যানার্জি নাড্ডা

জঙ্গি হামলার পর একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০০২ সালের ডিসেম্বর মাসে চার জন জইশ সদস্যকে হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০০৩ সালে ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী মহম্মদ আফজল গুরুকে আদালত মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০১৩ সালে ফাঁসি হয় তার।