নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ঘিরে পুড়ছে গোটা দেশ (India)৷ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ৷ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Millia Islamia University) থেকে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) সর্বত্রই প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে। শয়ে শয়ে পড়ুয়াদের উপর চলেছে মারধর, লাঠিচার্জ! পরিস্থিতি ঠেকাতে পঠনপাঠন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। দেশজুড়ে চলা এই ছাত্রবিরোধী কার্যকলাপকে কড়া ভাষায় নিন্দা করতে ছাড়েননি বলিউডের তারকারাও। পড়ুয়াদের উপর এই নিগ্রহের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কর, রাজকুমার রাও, পূজা ভাট, কঙ্কনা সেনশর্মা, সায়নী গুপ্ত, সিদ্ধার্থ সূর্যনারায়ণরা। তালিকা দীর্ঘ করেছেন টুইংকেল খান্না, সুশান্ত সিং রাজপুত, ফারহান আক্তার, ভূমি পেদনেকররা। এই তালিকাতেই পরিনীতি চোপড়ার নাম যেন একটু আলাদাভাবেই উঠে এল নতুন এক বিতর্কে।
অন্যান্য বলি সেলেবদের মতই নাগরিক আইনের বিরোধিতায় ছাত্রনিগ্রহের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী (Actress)। আর এই নিয়েই বেঁধে যায় বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ওই পোস্ট চাওর হতেই নেটপাড়ায় গুঞ্জন উঠতে শুরু করে, সরকার বিরোধী মন্তব্য করায় নাকি 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও'-এর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর পদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে তাঁকে! অনেক নেটিজেনই পরিনীতির শেয়ার করা পোস্ট নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করতে থাকেন। কিন্তু ঘটনা অন্য। তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে হরিয়ানায় ওই প্রকল্পের উক্ত পদে ছিলেন অভিনেত্রী। ২০১৬ সালেই তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পদ থেকে সরে যান অভিনেত্রী। 'বেটি বাঁচাও, বেটি পাঠাও'-র প্রকল্প পরিচালক যোগেন্দ্র মালিকও জানিয়েছেন পরিণীতি এখন তাঁদের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর নন। ফলে নেটিপাড়ার মানুষদের সরব হয়ে ওঠা যে নেহাত অযৌক্তিক গসিপ ছাড়া আর কিছুই নয়, তা বুঝতে আর সময়ের অবকাশ থাকে না। আরও পড়ুন: CAA: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে ছাত্রনিগ্রহে জ্বলে উঠলেন বলিউড তারকারা
If this is what’s gonna happen everytime a citizen expresses their view, forget #CAB, we should pass a bill and not call our country a democracy anymore! Beating up innocent human beings for speaking their mind? BARBARIC.
— Parineeti Chopra (@ParineetiChopra) December 17, 2019
ওই টুইটে পরিনীতি (Parineeti Chopra) লিখেছেন, "নাগরিকরা যখনই তাঁদের মতামত প্রকাশ করে তখনই এমনটা ঘটে। #সিএবি ভুলে যান, আমাদের একটি বিল পাস করা উচিত এবং আমাদের দেশকে আর একটি গণতন্ত্র বলা উচিত নয়! মনের কথা বলার জন্য নিরীহ মানুষকে মারধর? #বর্বর"