দেশের একের পর এক বিতর্কিত গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবি। কখনও 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' তো আবার কখনও 'দ্য কেরালা স্টোরি'। দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ সেই সমস্ত নির্মম কাহিনী বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ভূমিকা অতুলনীয়। এবার সেই তালিকায় যোগ দিতে চলেছে পুষ্পেন্দ্র সিংহ পরিচালিত 'আজমের ৯২' (Ajmer 92)। ১৯৯২ সালে রাজস্থানের আজমেরে গণধর্ষণ কাণ্ডকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
নব্বইয়ের দশকে আজমেরে একটি গ্যাং সক্রিয় হয়। গ্রামের স্কুল, কলেজের তরুণীদের নিত্যদিন ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের পরে তাঁদের নগ্ন ছবি, ভিডিয়ো তুলে রাখত অপরাধীরা। মুখ খুললেই আবার ধর্ষণের হুমকি আসত। আজমেরের ২৫০ জন তরুণীকে গণধর্ষণের প্রেক্ষাপটে আজমের ৯২ নির্মিত হয়েছে। এত সব কিছুর পরেও মুখে আঙুল নেতা মন্ত্রী, পুলিশ প্রশাসনের। এমনকি ধর্ষিতাদের পরিবারও অন্যায়ের প্রতিবাদে সাড়া করতে নারাজ।
এমনই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন আজমেরের এক সাংবাদিক। লেখালেখি করাকালীন গ্রামের একের পর এক মেয়েদের ধর্ষণ হওয়ার খবর কানে আসে তাঁর। থানা পুলিশ করেও কোন লাভ হয়নি দেখে নিজেই নেমে পড়লেন মাঠে। নির্যাতিতাদের ন্যায় বিচারের জন্যে নিজের জীবন ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এলেন ওই সাংবাদিক। আগামী ২১ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে 'আজমের ৯২'।
ছবির ঘোষণা হওয়ার পরে নিষিদ্ধের ডাক দিয়েছিল মুসলিম সংগঠন। এই ছবি সমাজে ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল তৈরি করতে পারে। সেই কারণেই এই ছবিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল জামিয়াত-উলেমা-ই-হিন্দ নামের এক মুসলিম সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি মৌলানা মেহমুদ মদনির কথায়, ‘‘হিন্দু এবং মুসলিম ঐক্যের প্রতীক। কিন্তু সিনেমা এবং সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে নিশানা করে তার সঙ্গে যাবতীয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।’
দেখুন আজমের ৯২-ট্রেলার...