উহান, ১৩ ফেব্রুয়ারি: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে (COVID-19) স্থবির চিন। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল। সব রেকর্ড ভাঙল বুধবার, এই মারণ ভাইরাসে একসঙ্গে ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩১০। গত সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেটাই ছিল এতদিন একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর রেকর্ড। ২৪২ জনের মৃত্যু নতুন রেকর্ড গড়ল। এদিকে জেনিভায় এক সম্মেলনে ‘হু’ এই নতুন করোনাভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নামকরণ করেছে ‘কোভিড-১৯’। প্রাথমিকভাবে হুবেইয়ের বেআইনি পশু বিক্রির বাজার থেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সূত্রপাত বলে ধারণা। তা রুখতে হুবেই কার্যত লকডাউনে। বন্ধ রাখা হয়েছে জমায়েত।
এদিকে করোনার থাবা থেকে বাঁচতে চঙ্গকিংয়ের বাসিন্দা ওয়াংয়ের জন্মদিনের পার্টি বাতিল করে প্রশাসন। তাতে ক্ষুব্ধ ৫৯ বছরের ওয়াং গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে জাপানের ইকোহামায় ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ জাহাজে যে ৩,৭০০ জন আটকে রয়েছেন, তাঁদের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে বলে খবর। চিকিৎসক মহলের দাবি, আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার সার্সে অনেক বেশি ছিল। করোনাভাইরাসে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তুলনায় মৃত্যুর হার যথেষ্টই কম। কিন্তু এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত। এটাই চিন্তার। ৯৯ শতাংশ মৃত্যুই চিনের মূল ভূখণ্ডে ঘটেছে। কিন্তু যে এক শতাংশ চিনের বাইরে, সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। চিনের বাইরে এই সংক্রমণ কী ভাবে রোখা যায়, ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছেন তাঁরা। ব্রিটেনের বাকি অংশে সংক্রমণের খবর জানা গেলেও এত দিন লন্ডনে কোনও আক্রান্তের কথা জানা ছিল না। বুধবার সে খবরও মিলেছে। আরও পড়ুন-Donald Trump: নরেন্দ্র মোদিকে 'সুপুরুষ ও বন্ধু ' সম্বোধন ভারত সফরের অপেক্ষারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
বুধবার আরও ১৪,৮৪০ জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮,২০৬। রোগের আঁতুড়ঘর হুবেই থেকে শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। কয়েক ঘণ্টা আগেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, সরকারের কড়া পদক্ষেপে ইতিবাচক সুফল মিলছে। তবে চিনা বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, এই মাসের শেষের দিকে চরম আকার নেবে এই রোগ।