ওয়াশিংটন, ২০ আগস্ট: ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি ট্রাজেডিকেও রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। তাঁর নেতৃত্বে জনজীবন বিপর্যস্ত, অহরহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বছর ৫৫-র কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) এভাবেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন। মার্কিন মুলুকে ডেমোক্র্যাট পার্টির তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হয়ে ইতিমধ্যেই ইতিহাস গড়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনেটর। তিনি এই মুহূর্তে ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর পদে রয়েছেন। মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ভারতীয় কৃষ্ণাঙ্গ উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হলেন। ভার্চুয়াল ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের আগে মার্কিন মুলুকে একের পর এক মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যর্থতাকে দায়ী করলেন কমলা হ্যারিস।
মার্কিন মুলুকে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবার ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বি বিরোধী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। গত সপ্তাহে উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য ডেমোক্র্যাট দলের তরফে কমলা হ্যারিসকে মনোনীত করেন জো বিডেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বক্তব্য রাখবেন জো বিডেন। এদিন কমলা হ্যারিস বলেন, “আমরা তেমন একজনকে অবশ্যই প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেব যিনি ব্যাতিক্রমী কিছু করবেন, ভাল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন। এমন একজন প্রেসিডেন্ট জিনি কালো, সাদা, ল্যাটিনো, এশিয়ান, আদিবাসীদের নিয়ে আমাদের সবাইকেই এক ছাতার তলায় আনবেন। এমন এক সম্মিলিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাবেন যা আমাদের বহুদিনের আকাঙ্খিত।” আগামী নভেম্বরেই মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে কাঠি পড়তে চলেছে। ভোট দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য তার আগে আমেরিকানদের সামনে এমন আবেগতাড়িত আবেদন রাখলেন কমলা হ্যারিস। আরও পড়ুন-Pranab Mukherjee Health Update: ভেন্টিলেশনে প্রণব মুখার্জির শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি, সেনা হাসপাতালের বুলেটিন
ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে কমলা হ্যারিস
Trump’s failure of leadership has cost lives and livelihoods. pic.twitter.com/PbGiMqKIz7
— Kamala Harris (@KamalaHarris) August 20, 2020
তিনি আরও বলেন, “আমরা অবশ্যই জো বিডেনকে নির্বাচিত করব। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো কে চিনতাম। প্রচারের সময় জো কে জেনেছি। তবে প্রথম যেটা জানলাম তা হল জো আমার এক বন্ধুর বাবা। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সবাইকেই সঙ্গে নিয়ে চলবে জো। কাউকেই পিছনে ফেলে এগোনো হবে না। যেখানে ভাল চাকরির সুযোগ ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়, হাতের সামনেই থাকবে। এই মহামারী তাড়াতে জো আমাদের সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলবে। এবং পরবর্তিতে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা যাতে বিপদে না পড়ি তা নিশ্চিতও করবে। জো এবং আমি মনে করি, একজিন আমরা একটা ভালবাসার দেশ গড়ে তুলব। যেখানে প্রত্যেকেই হবে ভদ্র, সৌজন্যবোধ সম্পন্ন, দয়ালু। কোনওরকম স্বৈরাচারী, বর্ণবিদ্বেষের বিষ সেখানে বাসা বাঁধতে পারেব না।”