নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credits: Getty Images)

ওয়াশিংটন, ৯ এপ্রিল: তাঁর হুমকি শুনে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (hydroxychloroquine) দিতে রাজি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এবার টুইটবার্তায় নরেন্দ্র মোদিকে কৃতজ্ঞতা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানবতার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, এই ঘটনা তাঁর অননুকরণীয় নেতৃত্বের প্রমাণ দেয়। দিন কয়েক আগেই ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি দিল্লি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না দেয় তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভারতকে দেখে নেবে। এনিয়ে দেশজুড়ে কম সমালোচনা হয়নি। নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষও করেছে বিরোধীরা। ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে হয়েছে কড়া সমালোচনা। রবিবার নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেদেশে মহামারীর চেহারা নিয়েছে করোনাভাইরাস। এই মুহূর্তে ওষুধ দরকার।

বার্তালাপের পরের দিন সোমবার হোয়াইটহাউসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রশ্নে ভারতকে হুমকি দিয়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবারই ভারত নিষিদ্ধ করে দেওয়া ওষুধ তৈরির উপাদানগুলি বিদেশে সরবরাহের ছাড়পত্র দেয়। প্রথমবার সেই তালিকায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না থাকলেও পরে তা যোগ হয়। এরপর এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো ওষুধ দেশের বাইরে সরবরাহ হলেও ভারতে তার কোনও ঘাটতি থাকবে না। এরপরই টুইট করে ট্রাম্প লেখেন, “দুই বন্ধুর সম্পর্কেও অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সম্পর্কিত কারণে ভারত ও সেখানকার মানুষকে ধন্যবাদ। কখনওই এই অবদানকে ভুলব না। যোগ্য নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। তিনি শুধু ভারতকেই সহযোগিতা করলেন না, করোনা তাড়াতে মানবিকতাকে সবার উপরে রাখলেন।” আরও পড়ুন-Coronavirus Deth Toll In US: করোনার থাবায় মৃত্যুপুরী মার্কিন মুলুক, ১ দিনে মারণ রোগের বলি প্রায় ২০০০

মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতকে ট্রাম্প যে সরাসরি হুমকি দিলেন তার নিন্দা করা হয়নি। তবে জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে বিশ্বের বাজারে রাজনীতিতেও দিল্লির কোনও আগ্রহ নেই। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “ আমরা দেশেছি এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ওষুধ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। দায়িত্ববান সরকার হিসেবে আমাদের প্রথম কর্তব্য দেশের মানুষের জন্য প্রথমে জীবনদায়ী ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে জোগান দেওয়া। এটি নিশ্চিত করতেই কিছু ওষুধ তৈরির উপাদান রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।”