কলকাতা, ৮ ডিসেম্বর: এক মিনিটে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। এমনই এর যন্ত্রকে আইনি স্বীকৃতি দিল সুইৎজারল্যান্ড (Switzerland)। ক্যপসুলের আকারে দেখতে ওই যন্ত্রের নাম "সারকো"। যিনি স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিয়েছেন, তাঁকে ওই যন্ত্রে ঢুকিয়ে দেবার পর কৃত্রিম উপায়ে কার্বন ডাই অক্সাইড ও অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে আনা হয়। এর জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়। মোটামুটি এক মিনিটেরও কম সময়ে "সারকো" মৃত্যু নিশ্চিত করে। এই "সারকো" আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছেন ফিলিপ নিটশে নামের এক ব্যক্তি। যদিও সুইৎজারল্যান্ডে তিনি ডক্টর ডেথ নামেই সমধিক পরিচিত। তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা "এগজিট ইন্টারন্যাশনাল" এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে। জানা গেছে, "সারকো"-কে বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভিতর থেকেও সুইচ অন করা যাবে। আরও পড়ুন- Deadline For 'Life Certificate' Submission Extended : পেনশনভোগীদের 'লাইফ সার্টিফিকেট' জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল
উল্লেখ্য, যিনি মরতে চান তিনি নিজে থেকেই "সারকো" চালু করতে পারবেন। তবে সমস্যাও একটি রয়েছে। মরণে ইচ্ছুক ব্যক্তির ক্ষেত্রে পেশি সেভাবে কাজ করে না। অর্থাৎ তিনি আগে থেকেই অর্ধেক চেতনা হারিয়ে ফেলেন। এসব ক্ষেত্রে মোকাবিলার জন্য় "সারকো" কে তৈরি রাখা হয়েছে। তাই ওই ব্যক্তি চোখের পাতা নাড়ালেই মেশিন সংকেত নিয়ে নেবে। মূল মেশিন ছাড়া সারকো-কে দেখতে অনেকটা কফিনের মতো। যেকানে আপনি চাইবেন, সেখানেই সারকো পৌঁছে যাবে। একবার কফিনে ঢুকলেই সব শেষ।
এমনিতে সুইৎজারল্যান্ডে স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ। তবে ডাক্তার ফিলিপ নিটশে-র এই আবিষ্কার নিয়ে সমালোচনাও কম হচ্ছে না। দেশের একাংশের দাবি, এই সারকো গ্যাস চেম্বারকেই মহিমাণ্বিত করেছে। গত বছর এই যন্ত্রের সাহায্যে সেখানে ১৩০০ মানুষ মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে। এবার এই যন্ত্রকে আইনি বৈধতা দিল সুইৎজারল্যান্ড। এখন দুটি সারকো কাজ করছে। তবে প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে, আরও একটির থ্রিডি প্রিন্টিং শুরু করেছে এগজিট ইন্টারন্যাশনাল। এতকিছুর পরেও সমালোচনা কিন্তু বন্ধ নেই।