রাষ্ট্রপতি পদে মহম্মদ মইজ্জু (Mohamed Muizzu) আসার পর ভারতের সঙ্গে কিছুটা দুরত্ব বেড়েছে মালদ্বীপের। চীনপন্থী মইজ্জুর ভারতবিরোধী চিন্তাভাবনা হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও খানিকটা হাত সরিয়ে নিয়েছে মালদ্বীপের ওপর থেকে। যদিও এই দুরত্ব হওয়ার কারণে মালদ্বীপে অর্থনীতিতে পড়েছে, সেটা বুঝতে অবশ্য বেশিদিন সময় নেনি মুইজ্জু। সেই কারণে ফের এদেশের সঙ্গে সক্ষতা বাড়াচ্ছে মালদ্বীপ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মুইজ্জু। এবার চলতি মাসে ভারত সফরে এসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তিনি। এই বৈঠকের পরেই মালদ্বীপকে ৩০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে ভারত।

গতকালের বৈঠকের পর বুধবার বেঙ্গালুরুতে এসেছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। এখানে বিভিন্ন শিল্পপতিদের সঙ্গে বানিজ্যিক চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক করলেন তিনি। আর্থিক দিক থেকে উন্নত করার পাশাপাশি প্রযুক্তির দিক থেকে উন্নতি করার জন্য ভারতের সাহায্যপ্রার্থী মালদ্বীপ। তাই এই বৈঠকে এসে তিনি বলেন, মালদ্বীপ বর্তমানে ডিজিটাল বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। আর সেই জন্য ভারতে সাহায্য একান্ত কাম্য। আমরা ভারতকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের নেতা হিসেবে দেখছি। আমাদের ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নত করতে ভারতের সহযোগীতামূলক পদক্ষেপের আশা করছি। চলতি সপ্তাহেই মালদ্বীপে রুপে কার্ড চালু হয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্য।

প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের অর্থনীতি তাঁদের পর্যটন ব্যবস্থার ওপর অনেকটাই নির্ভর। ফলে নির্বাচনে জেতার সময় বয়কট ইন্ডিয়া ক্যাম্পেন চালু করা মুইজ্জু যখন ক্ষমতায় এলেন, তখন ভারত থেকে পাল্টা বয়কট মালদ্বীপ ক্যাম্পেন চালু হয়। এমনকী এরজন্য খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপের জন্য প্রচার করেছিলেন। যার ফলে খুব অল্পদিনের মধ্যেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয় মুইজ্জুর দেশ। যার ফলে চাপে পড়ে ভারতের ওপর সুর নরম করেন মুইজ্জু ও তাঁর সরকার।