ওয়াশিংটন, ২৯ অক্টোবর: যেমনভাবে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে (Osama bin Laden) সমুদ্র সমাধি দেওয়া হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় আবু বকর আল-বাগদাদিকে (Abu Bakr al-Baghdadi) সমুদ্র সমাধি দিল মার্কিন সেনা (US Special Forces)। মৃত্যুর আগে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের বারিশা গ্রামে আস্তানা গেড়েছিল আইএস প্রধান। সেখানেই অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও মার্কিন বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় আইএস জঙ্গিদের। তাদের বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়। কোণঠাসা হয়ে পালানোর চেষ্টাও করে বাগদাদি, কিন্তু সফল হয়নি। আইএসের ওই ঘাঁটিতে একটি সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়ে বাগদাদি। কিন্তু, ‘টার্গেট’-এর পিছু নেন মার্কিন বাহিনীর সদস্যরাও। শেষে সুইসাইড ভেস্টের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায় বাগদাদি।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর সময় সঙ্গে ছিল বাগদাদির তিন সন্তানও। বিস্ফোরণে সকলের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এরপর দেহাংশ সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের পর মার্কিন প্রশাসন নিশ্চিত হয় যে বাগদাদি এবার সত্যি সত্যিই মরেছে। তারপরেই সেসব দেহাংশ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয় মার্কিন সেনাবাহিনী। বেশ কিছুদিন ধরেই বাগদাদির হদিশ পেয়ে গিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। সিরিয়ার ওই অংশে শুধু চলছিল নজরদারি। এক অখ্যাত জায়গায় পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছিল আইএস প্রধান। তবে মার্কিন বাহিনীর নজরদারি তার জানার কথা নয়। যতক্ষণে জানল ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে, শেষপর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে জ্যাকেটে থাকা বিস্ফোরকেই নিজেকে উড়িয়ে দিল আবু বকর আল-বাগদাদি। আরও পড়ুন-Muslim community joined Hindus Diwali: দীপাবলির শুভকে আলোকিত করতে পাকিস্তানের স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হিন্দু প্রতিবেশীর সঙ্গে দীপ জ্বাললেন মুসলিমরা
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল মার্কিন নেভি সিল। লাদেনকে খতম করার পর তার দেহ কখনই প্রকাশ্যে আনেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বরং জানানো হয়, তা সমুদ্রে সমাধি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই একই পরিণতি হয়েছিল এক সময় আল কায়দা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইরাক ও সিরিয়ায় বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির ক্ষেত্রেও। তবে বাগদাদির দেহ ঠিক কোন সমুদ্রের কোথায় সমাধিস্থ তানিয়ে কোনও তথ্যই দেয়নি সেনাবাহিনী। উল্টে মার্কিন সেনাকর্তা মার্ক মিলি বলেন, সশস্ত্র লড়াইয়ের নিহতদের সমাধিস্থ করতে যা যা নিয়ম আছে, তাই এক্ষেত্রেও পালিত হয়েছে।