
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে গোটা একটা বছর। ২০২৪ সালের ১৪’ই ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবু ধাবির BAPS গোষ্ঠী দ্বারা স্থাপিত হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করেন।দিল্লির শ্রী অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম খোদাই পাথরের তৈরি বৃহত্তম ও পূর্ণাঙ্গ হিন্দু মন্দির এই মন্দিরটি। আমিরশাহীতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সাংস্কৃতিক অবদান এবং সংহতির প্রতিফলন হিসেবে এই হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে আছে। হিন্দু মন্দিরের রাজকীয় উদ্বোধন পর্বে মন্দিরের এক পাথরের গায়ে মোদী একটি বিশেষ বার্তা খোদাই করেছিলেন। যাতে লেখা রয়েছে, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।উপনিষদের এই বার্তা মূলত ‘গোটা বিশ্ব একই পরিবার’ বার্তা তুলে ধরে।
উদ্বোধনের মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর বার্তাঃ
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi inscribes the message of 'Vasudhaiva Kutumbakam' on a stone, at BAPS Hindu temple, in Abu Dhabi. pic.twitter.com/JgyNKT3wpC
— ANI (@ANI) February 14, 2024
আবু ধাবির BAPS আমিরশাহী সরকারের সঙ্গে তার প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করছে। সরকারের সহিষ্ণুতা দপ্তরের মন্ত্রী শেখ-নাহিয়ান-মোবারক-আল-নাহিয়ান, বিশেষ উপদেষ্টা শেখ-মহম্মদ-বিন-হামাদ-বিন-তাহানুন-আল–নাহিয়ান, ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় সুদ উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
BAPS হিন্দু মন্দিরের প্রথম বার্ষিকী পালনঃ
The BAPS Hindu Mandir in Abu Dhabi celebrated its first anniversary with a grand event, aligning with the UAE's 'Year of Community'.
Indian Ambassador to the UAE, Sunjay Sudhir, highlighted the Mandir's role in India-UAE relations, describing it as "the most tangible form of… pic.twitter.com/149boKbtRW
— All India Radio News (@airnewsalerts) February 18, 2025
উল্লেখ্য, এই সুবিশাল মন্দিরটি আবুধাবির আবু মুরেইখান এলাকায় অবস্থিত। ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এই মন্দিরে রয়েছে ২৭ একর জমি। জানা যাচ্ছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে এই মন্দিরটিই সবচেয়ে বড়। একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অমুসলিম ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোর কোনো আইনি বৈধতা ছিলো না। প্রথা ভেঙে অমুসলিম ধর্মস্থানগুলোকে স্বীকৃতি দিতে দেশটির সরকার গত বছর থেকেই সেখানে মন্দির, গুরুদ্বার ও চার্চসহ বিভিন্ন ধর্মের ১৮টি প্রার্থনালয়কে লাইসেন্স দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংখ্যালঘু ধর্মস্থানগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে আবুধাবিতে শান্তি সহিষ্ণুতা এবং সহাবস্থানের পরিবেশ আরো জোরদার হবে বলেই ছিল আশা করছেন তারা।