Credit: instagram

চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন এক্স রুশ গুপ্তচর আলিয়া রোজা। টেন্ডারফুট টিভি এবং পডকাস্ট শো "টু ডাই ফর"-এ তিনি জানান, কীভাবে টার্গেটকে প্ররোচিত করার জন্য অভিযুক্তের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করতে হয় তাকে। তিনি এই কাজে এতটাই পারদর্শী হয়ে পড়ে ছিলেন যে 'মাস্টার ম্যানিপুলেটর' উপাধি পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে তিনি বুঝতে পারেন যে যৌন শোষণ করা হচ্ছে তার। আলিয়ার মতে, ১৮ বছর বয়সে FSB দ্বারা মার্শাল আর্ট এবং পুরুষদের প্ররোচিত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাকে। এরপর তাকে অংশ নিতে হয় সেক্স প্রোগ্রামে।

৩৬ বছর বয়সী আলিয়া রোজা বর্তমানে রাশিয়া ছেড়ে বসবাস করছেন আমেরিকায়। তিনি জানান, একজন গুপ্তচর এজেন্ট হিসেবে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন তিনি। এছাড়াও জানান, আলিয়া রোজার পিতা ছিলেন রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র অফিসার। আলিয়ার পিতাই তাকে গুপ্তচর এজেন্ট হওয়ার জন্য বাধ্য করেছিলেন। আলিয়া তার দেশের খাতিরে সব কিছু করতেন। সেই সময় তিনি এক ব্যক্তিকে ভালোবাসতে শুরু করেন, কিন্তু এজেন্সি কখনই চায় না তাদের জন্য কাজ করা গুপ্তচররা কোনও সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত থাকুক। এজেন্সির এই নিয়মের কারণেই আলিয়া তার কাজকে অপছন্দ করতে শুরু করে।

আলিয়া জানান, তিনি যখন কারোর জীবন বাঁচাতে পারতেন, তখন তার খুব ভালো লাগত। তিনি কখনই নিজেকে জিজ্ঞাসা করতেন না যে পুরুষরা তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করলে কেমন অনুভব হত। তিনি নিজেকে যৌন কাজে ব্যবহৃত ভাঙা খেলনা মনে করতেন। আলিয়া জানান, স্বামী সন্তান নিয়ে সংসার করতে চাইতেন তিনি। যার জন্য তিনি ওই কর্ম জীবন ছেড়ে ছোট ছেলেকে নিয়ে মস্কো থেকে পালিয়ে আসেন।