নতুন দিল্লি, ১৮ নভেম্বর: শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ট্র্যাকারদের তালিকা অনুসারে মঙ্গলবারই ইউরোপের কোভিড সংক্রমণ ১৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেল। উত্তর গোলার্দের এই মহাদেশটিতে গত মে মাসেই সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১.৫ মিলিয়ন। এর সঙ্গে গত ৬ মাসে আরও ১০ গুণ সংক্রমণ বেড়েছে। ইউরোপে ফের হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিকে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ (Second Wave of Pandemic) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই মারণ ভাইরাসকে গোটা মহাদেশে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল, কিন্তু শীত পড়তে না পড়তেই শুরু হল সেকেন্ড ওয়েভ। চলতি মাসের গোড়া পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া ও দেশবাসীর লাগামছাড়া ভ্রমণ পরিকল্পনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ শুরুতে ইন্ধন জুগিয়েছে। তবে এবার দেশের পূর্বাংশের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে পশ্চিম ও মধ্য ইউরোপে।
#BREAKING Coronavirus infections top 15 million in Europe according to an AFP tally pic.twitter.com/AHFvmvGk0k
— AFP News Agency (@AFP) November 17, 2020
তুলনামূলক ভাবে নরডিক দেশগুলিতে সংক্রমণ তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি কারণ সেখানে জনঘনত্বই কম। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের ধাক্কায় একেবারে কাতর হয়ে পড়েছে ফ্রান্স। সেখানে সংক্রামিতর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১.৯ মিলিয়ন। ওই দেশে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজারেরও বেশি। স্পেনে যখন সংক্রমণ ১.৫৩ মিলিয়ন ছুঁয়েছে। তখন ইংল্যান্ডে সংক্রামিত ১.৩৯ মিলিয়ন। অন্যদিকে ইতালিতে মোট সংক্রামিত ১.২৩ মিলিয়ন। জার্মানিতে ৮ লাখ ২৮ হাজার সংক্রামিতর সন্ধান মিলেছে। পোল্যান্ডে সংক্রামিত ৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৪০ জন। বেলজিয়ামে সংক্রামিত ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭১ জন। অন্যদিকে রোমানিয়াতে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। আরও পড়ুন-Bengaluru Shocker: প্রধান কনস্টেবলের উপরে ছুরি নিয়ে চড়াও খুনে অভিযুক্ত, সাততাড়াতাড়ি গুলি চালালো পুলিশ
ইউরোপে ফের কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ায় দারুণ উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই প্রমাদ গুনেছেন WHO প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়াসিস। তিনি ইউরোপের উদাহরণ দিয়ে অন্যান্য মহাদেশকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তারা যেভাবে দ্রুত গতিতে করোনা সংক্রান্ত লকডাউন শিথিল করছে তাতে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। ইউরোপকে দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি সোমবার বলেন, “এই মুহূর্তে ইউরোপ আমেরিকার মতো মহাদেশে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কারণ এর জেরে ওই সব দেশের চিকিৎসাকর্মীরা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ফের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে।”