ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credits: Facebook)

ওয়াশিংটন, ২ নভেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের হার মেনে নিতে এখনও নারাজ ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে আগেই ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধ সরব হয়েছিলেন তিনি। তবে আইনি পথে হেঁটেও কোনও লাভ হয়নি। স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প পর্যন্ত তাঁকে হার মেনে নিতে বলেছেন। কিন্তু তারপরেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরেও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও এসবে বিশেষ আমল দেননি ট্রাম্প। কিন্ত ফেডারেল এজেন্সি যখন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জো বিডেনকে হোয়াইট হাউসে পৌঁছে দিতে অগ্রণী হল তখন সরকারি কর্মীদের ক্ষমতা হ্স্তান্তরের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প।

যদিও ভাঙলেও মচকাতে রাজি নন ট্রাম্প। বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্র তিনি এখনই ছাড়ছেন না। গত ৩ নভেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও হার স্বীকার করেননি তিনি। ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। সব আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। চিনের সঙ্গে জো বিডেনের গোপন আঁতাঁত রয়েছে বলে ভোটের আগে থেকেই সরব ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে এমনকি এ-ও বলতে শোনা গিয়েছিল, বিডেন ক্ষমতায় এলে আদতে আমেরিকা চালাবে বেজিংই। সরকারি ভাবে তাঁর ‘জয়’ ঘোষণা না-হলেও সেই বাইডেন এখন নিজের ক্যাবিনেট গোছাচ্ছেন। আর ঠিক এমন একটা সময়েই বেসুরো গাইল চিন। বিডেন হইতে সাবধান— সতর্ক করলেন। আরও পড়ুন-India's First-Ever Intestine Transplant: ছেলেকে বাঁচাতে ২০০ সেন্টিমিটার অন্ত্র দান বাবার, ভারতে এই প্রথম করোনা আক্রান্তের অঙ্গ প্রতিস্থাপন

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারি উপদেষ্টা ঝেং ইয়ংনিয়ান। তাঁর আশঙ্কা, ‘‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অত্যন্ত দুর্বল এই বিডেন যে-কোনও মুহূর্তে চিনের সঙ্গে যুদ্ধ বাধাতে পারেন।’’ ঘুরিয়ে আবার ট্রাম্পের সুনামও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ট্রাম্প একাধিক বার বিডেনকে ‘চিনের বন্ধু’ তকমা দিলেও, ভাবী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নিজের ভোটপ্রচারে চিনকে ‘গুন্ডা’ বলতেও ছাড়েননি। সম্প্রতি এ-ও বলেন যে, চিনের উপর নজরদারি চালাতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (হু) ফের ঢুকতে চায় আমেরিকা। করোনা ছড়ানোয় চিনের ভূমিকা নিয়েও কার্যত ট্রাম্পের সুরেই সরব হতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তা-হলে ঝেং-এর আশঙ্কাই কি ঠিক হতে চলেছে? প্রশ্ন তুলছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত সে চিন্তায় আমল না-দিয়ে হোয়াইট হাউসে পালাবদল নিয়েই যেন বেশি আগ্রহ ঘরে ও বাইরে। মামলার জেরে খানিক থমকে থাকা মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়া এখন ভোটের চূড়ান্ত ফলে সিলমোহর দেওয়ার মুখে। যার অর্থ, ট্রাম্পের আশা প্রায় ধূসর। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার কথা প্রায় নিশ্চিত বিডেনের।