‘ভারত যে পদক্ষেপই নিক না কেন সিরিয়া সবসময় পাশেই থাকবে’, রাষ্ট্রদূত রিয়াদ আব্বাস
রিয়াদ আব্বাস(Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ১৫ অক্টোবর: জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) তুলে দিয়েছে ভারত। এই বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রতিবেশী পাকিস্তান আলোড়ন তুললেও মনে রাখতে হবে যে এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। নাগরিক সুরক্ষাকে মজবুত করতে বিশ্বের যে কোনও দেশের সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে। দিল্লিতে একথাই বললেন সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত রিয়াদ আব্বাস (Riad Abbas)। ‘কাশ্মীর সমস্যা ভারতের নিজস্ব বিষয় এনিয়ে বাইরের কারও নাক গলানো উচিত নয়। নয়াদিল্লি দেশের নাগরিকদের জন্য যেমনই পদক্ষেপ নিক না কেন সিরিয়া সবসময় ভারতের পাশেই থাকবে।’ কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারতের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই। বাদ পড়েনি সার্কভুক্ত দেশগুলিও।

উত্তর পূর্ব এশিয়ায় সামরিক কার্যকলাপ তুরস্ক চালিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে তাকে স্বাগত জানান সিরিয়ান রাষ্ট্রদূত। এখন আন্তার্জাতিক অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের বিশেষ মূল্য রয়েছে। এই বিষয়ে ভারত যে সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে বেজায় স্বস্তিতে সেদেশের মানুষ ও সরকার। গত ১০ অক্টোবর উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় একতরফা সামরিক আক্রমণে যায় তুরস্ক। সেই খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। এক বিবৃতিতে জানায়, আঙ্কারায় এহেন আক্রমমে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে সেখানকার অধিবাসীদের মাবাধিকার ও অসামরিক পরিস্থিতিও সংকটের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করছে। এই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপও আচমকা স্থগিত হয়ে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। এই ঘটনার পরে পরেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, তুরস্কের উচিত সংযমী হওয়া। একই সঙ্গে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানো তাদের কর্তব্য। এজন্য তুরস্ক যাতে সিরিয়ার সঙ্গে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা খোঁজে তারও আহ্বান জানিয়েছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। আরও পড়ুন-পাকিস্তানে ডেঙ্গি: আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল, মহামারীর আকার নিয়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০

গত ৯ অক্টোবর সিরিয়া তুরস্কের সীমান্ত এলাকা থেকে কুর্দ বাহিনীকে সরাতে উত্তরপূর্ব সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে মার্কিন যুক্ত সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরেই এই অভিযান চালানো হয়। মার্কিন সেনা সহায়তা ছাড়াই সেখানে ছিল সিরিয়ার সেনাবাহিনী।