বেজিং, ১১ ফেব্রুয়ারি: নভেল করোনা ভাইরাসে (Corona Virus) আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১০০০। গতকাল রাত পর্যন্ত এই সংখ্যাটি ছিল ৯১০। কয়েকঘণ্টার মধ্যে চিত্রটা পুরোপুরি বদলে গেল। যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে, এই মহামারীকে কোনওভাবেই বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। চিনের আশেপাশের যে দেশগুলিতে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে তাও মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। তাই আরও সাবধান হচ্ছে WHO।
বেড়েছে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। চিনে (China) মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২,০০০-এরও বেশি। আর চিনের বাইরে ২৪টি দেশে একজনের মৃত্যু-সহ ৩১৯ জনের দেহে মিলেছে করোনা ভাইরাস। মার্চের শেষ পর্যন্ত চিনের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। জাপানের ইয়োকোহামায় মাঝ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সের ক্রুজ শিপে কোয়ারেনটাইনে থাকা ৩৭০০ জন ক্রু ও যাত্রীর মধ্যে আরও ৬৫ জনের দেহে মিলেছে এই মারণ ভাইরাস। ফলে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১৩৫। আরও পড়ুন, করোনা ভাইরাসে কাহিল উহানের খবর করতে গিয়ে নিখোঁজ চিনের নাগরিক সাংবাদিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা
হুবেইতে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বলা যায় হুবেই করোনা ভাইরাসের আঁতুরঘর। এরফলে ইন্দো-চীন ব্যবসায় হচ্ছে বিপুল ক্ষতি।সুরাটে হীরে ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছ। চিনের মহামারীর খবর বাইরে আসতেদেয় হচ্ছে না। খবর যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলি বন্ধরাখা হয়েছে। বাইটডান্স, উইচ্যাট-র মত কোম্পানিগুলি খবর আটকানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সুতরাং মহামারীর আসল চেহারাটা বিস্তৃতভাবে জানা যাচ্ছে না।মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে এই নিয়ে চিন্তায় গোটা দেশ।