দিল্লি, ৭ জানুয়ারি: ইস্তফা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। দীর্ঘ এক দশক পর কানাডার (Canada) লিবারেল পার্টির সদস্য জাস্টিন ট্রুডো ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন সোমবার। এ সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার ৫৩ বছরের জাস্টিন ট্রুডো বলেন, 'আমার যদি একটি অনুশোচনা রয়েছে। বিশেষ করে যখন আমরা এই নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি। যদিও একটি নয়, একাধিক অনুশোচনা যেগুলি রয়েছে, তা নিয়ে ভাবব। এই দেশের সরকার যাতে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারে, সেই আশা করব।' লিবারেল পার্টির সদস্য সংখ্যা যখন কমতে শুরু করে, সেই সময় উপায়ন্তর না দেখে ইস্তফা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
২০১৫ সালে লিবারেল পার্টি যখন জয় পায়, সেই সময় সংশ্লিষ্ট পার্টির পতাকা-বহনকারী হিসেবে জাস্টিন ট্রুডোকে নির্বাচন করা হয়। ওই সময় লিঙ্গ বৈষম্য-সহ একাধিক বিষয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন আনেন ট্রুডো। সেই ট্রুডোই এবার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে কানাডার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন।
সম্প্রতি খালিস্তানি (Khalistan) ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে ভারতের (India) দূরত্ব তৈরি হয়। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি কর কানাডা। যদিও কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ট্রুডো সরকার ওই দাবি করছে বলে কড়া সমালোচনা করা হয় দিল্লির তরফে। যা নিয়ে কানাডা এবং দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়। নিজ্জর ইস্যুতে কিছুটা হলেও নরম মনোভাব পোষণ করেন কানাডার বিরোধী দলনেতা পলিভার। ফলে খালিস্তানি ইস্যুতে কানাডার নাগরিকের সঙ্গেই ট্রুডোর দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ফলে এবার কানাডার দায়িত্ব কার হাতে যয়া, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।