সিরিয়া (Syria)-য় ঐতিহাসিক পতন। দীর্ঘ ৬৩ বছর ধরে একই পরিবারের শাসনে চলা একটা দেশে গৃহযুদ্ধে পতন হল আল-আসাদ সরকারের। ১০ দিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধে রবিবার পুরো সিরিয়ার দখলে নিল বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের দেখে লুকিয়ে বিমানে চড়ে দেশ ছাড়লেন ২৪ বছর ধরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকা বাসার আল-আসাদ। প্রাণ বাঁচাতে এদিনই রাশিয়ায় পালালেন আসাদের স্ত্রী ও সন্তানে। তাঁর ভাই পালালেন সংযুক্ত আরবআমিরশাহি-তে। কিন্তু আসাদ দেশ ছেড়ে কোথায় পালালেন তা স্পষ্ট নয়। একটা খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তা হল তাড়াহুড়োয় পালানোর সময় আসাদের বিমান দুর্ঘটনার পর ভেঙে পড়েছে। সেই খবরের অবশ্য তেমন সত্যতার প্রমাণ নেই। এতো গেল, রাজার পালানোর খবর, কিন্তু দেশের কী হাল!
রাজধানী দামাস্কাসে হৈ হৈ করে ঢুকে পড়ে সেনাঘাঁটি, প্রেসিডেন্ট ভবনের দখল নিতে এদিন বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের বহর দেখে বাসার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ, মন্ত্রী-পারিষদরা বিমান ধরে দেশ ছাড়েন। এদিকে, তুরস্কের মদতপুষ্ঠ এইটিএস জেহাদি গোষ্ঠীর যোদ্ধারা রাজধানীতে ঢুকে আসাদ পরিবারের সব মূর্তি ভাঙতে শুরু করে।
১৯৭১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন হাফিজ আল-আসাদ। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে ভাঙা হচ্ছে আসাদ-পরিবারের মূর্তি
This is a statue of Assad in Syria…
Having flashbacks to Saddam Hussein…
— Mario Nawfal (@MarioNawfal) December 8, 2024
২০০০ সালে তাঁর মৃত্যুর পর হাফিজ পুত্র বাসার আল-আসাদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হন। পুতিন ঘনিষ্ঠ বাসার আল আসাদ টানা ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন। একের পর এক বড় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বাসার আল-আসাদের বিরুদ্ধে দেশে বিক্ষোভ চরমে উঠেছিল। আমেরিকা, ইজরায়েলও বাসার আল-আসাদকে সরাতে মরিয়া ছিল। কিন্তু রাশিয়ার আর্শীবাদে নিজের সিংহাসন কোনও রকমে গত কয়েক বছর টিকিয়ে রেখেছিলেন আসাদ।