ঢাকা, ৫ এপ্রিল: করোনা ভয়াবহতায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর ফের নতুন করে বর্ষবরণের উৎসবে শামিল হতে চলেছে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University)। রবিবার নবাব আলি চৌধুরী সেনেট হলে আয়োজিত এক বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এই ঘোষণা করেন। আগামী ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের দিন সকলা ৯ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র কেন্দ্রের সামনে থেকে শুরু হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা (Mangal Shobhajatra)। মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলার কারণে সড়কদীপ এলাকা থেকে যাবে এই শোভাাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের শহিদবেদীর চারপাশে প্যারেড করার পর আবার শিিক্ষক ছাত্র কেন্দ্রের সামনে এসে মঙ্গল শোভাযাত্রার সমাপ্তি হবে।
সন্ধ্য়া সাতটার মধ্যে উৎসব শেষ হবে। আর উৎসব শেষ হলেই বহিরাগতদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার বন্ধ হবেে। দেশে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি ও চলমান রমজান মাসের কথা মাথায় রেখে শোভাযাত্রায় ভিড় কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নাগরিক সমাজের কাছে আবেদন রেখেছে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়াা প্রত্যেককে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। উৎসবের মুখোশ ও ব্যাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টসের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের তৈরি মুখোোশের অনুমোদন রয়েছে। চলতি বছরের নববর্ষের উৎসবে ভুভুজেলা বাঁশির বিক্রি ও বাজানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল রাত সাতটার পর থেকে পয়লা বৈশাখ দিনটি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত স্টিকার যে গাড়িতে রয়েছে, সেগুলিই শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের অনুমতি পাবে। ক্যাম্পাস এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করলে এই দুদিন নিখেত ও পলাশসি রোডের দিকে যেতে পারবেন। উৎসব চলাকালীন ক্যাম্পাস চত্বরের নিরাপত্তা দেখভালের জন্য কমিটির তরফে সেখানে সিসিটিভি বসানোর অনুরোধ পুলিশের কাছে গেছে। চত্বরে হাজি মহম্মদ মহসীন হল লাগোয়া এলাকায় অস্থায়ী শৌচালয়ের বন্দোবস্তও করা হবে। বলাবাহুল্য ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস বিভাগ এই ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছে।