২ বহুল ব্যবহৃত ওষুধেই সারছে মারণ রোগ করোনা, যুগান্তকারী আবিষ্কারে বাংলাদেশের চিকিৎসক দল
করোনাভাইরাস (Photo Credits: Pixabay)

ঢাকা, ১৮ মে: দুই বহুল ব্যবহৃত ওষুধের সংমিশ্রণেই তৈরি হবে কোভিড নিরাময়ের ওষুধ। যার ব্যবহারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত হতে পারে। এমনই ঘোষণা করলেন কোভিড-১৯ এর নিরাময় নিয়ে গবেষণারত বংলাদেশের (Bnagladesh) চিকিৎসক দল। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন ৩ লক্ষ ১২ হাজার মানুষ। এই মেডিক্যাল টিমে বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসকরা রয়েছেন। প্রায় প্রত্যেকেই চাইছেন যেনতেন উপায়ে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে। এই প্রসঙ্গে প্রাইভেট বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডক্টর মহম্মদ তারেক আলম এদিন বলেন, “দুটি বহুল ব্যবহৃত ওষুধের সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধ করোনা আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োগ করেছি। এর ফলে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এককথায় এই গবেষণায় অভাবনীয় ফল পেয়েছি।”

বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসকদের একজন হলেন এই অধ্যাপক মহম্মদ তারেক আলম। তিনি বলেন, “অ্যান্টি প্রোটোজল মেডিসিন আইভারমেকটিনের সিঙ্গল ডোজের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিনের মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। তারপর সেই মিশ্রণই কোভিড আক্রান্তের উপরে প্রয়োগ করে অবিশ্বাস্য সাফল্য মিলেছে। যেসব রোগীর শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে তাঁদের প্রায় প্রত্যেককেই এই দুটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছে চিকিৎসক আলমের মেডিক্যাল টিম। কোনওর রোগী করোনা সংক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে এলে প্রথমেই তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য বলি। তারপর এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়। চারদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হচ্ছেন, এমন বহু প্রমাণ মিলেছে।”  আরও পড়ুন- Cyclone Amphan: শক্তি সঞ্চয় করে পারাদ্বীপের দিকে ঝুঁকছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, উপকূলবর্তী ১১লক্ষ জনগণের উদ্ধারে প্রস্তুত ওড়িশা

বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ২০ হাজার ৯৯৫ জন। সেদেশে এই মারণ বাইরাসের প্রকোপে ৩১৪ জনের প্রাণ গিয়েছে। বাংলাদেশের ওই মেডিক্যাল টিমের তৈরি ওষুধে চারদিনে করোনা রোগী সেরে উঠছেন। তাঁর শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আভাসও নেই। নতুন ওষুধ খেয়ে রোগী সুস্থ হয়ে গেলে তাঁর লালারসের পরীক্ষা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসাতেই নতুন ওষুধের কার্যক্ষমতা প্রকাশ্যে এসেছে। ওষুধের ফল হাতে হাতে মিলতেই তাঁর ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে এতেই করোনা দূর হবে। এবার আন্তর্জাতিক স্তরে এই ওষুধের স্বীকৃতির জন্য় কাজ শুরু করেছে ওই মেডিক্যাল টিম।