কলকাতা : আজ পশ্চিমবঙ্গ দিবস। কলকাতার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ দিবস বা পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস (West Bengal Foundation Day) পালন হচ্ছে। NCC-র মহা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

তবে এই দিনটি উদযাপনে খুসি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিনটি এভাবে মহাসমারোহে পালন করার জন্য রাজ্যপালের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে কেন একতরফা এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে সোমবার চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনে  ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।  ফোনে মমতা রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেন কিভাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া, সম্পূর্ণ একতরফাভাবে 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাও স্বাধীন হয়েছিল, তবে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে। স্বাধীনতার আগে ভারত একাধিক ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশ ও নামমাত্র স্বায়ত্ত্বশাসিত দেশীয় রাজ্যে বিভক্ত ছিল। দেশীয় রাজ্যগুলিও ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শক্রমে শাসিত হতো। দেশভাগের পর এই প্রশাসনিক বিভাগগুলির কয়েকটি পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। আর বাদবাকি প্রদেশ ও রাজ্যগুলি ভারত অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। আমাদের পশ্চিমবঙ্গও সেই সময় থেকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

পশ্চিমবঙ্গ অর্থাৎ এপার বাংলা ভারতীয় ভূখণ্ডে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা পায় ১৯৫০ সালের ২০ জুন। এরপর, ১৯৫২ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এরাজ্যে। তার আগে পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা কংগ্রেস শাসন করেছে। সেসময় মোট ২ জন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন – প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ এবং বিধানচন্দ্র রায়, উভয়কেই নিযুক্ত করেছিলেন, তৎকালীন রাজ্যপাল চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি দেশের সংবিধান কার্যকরী হওয়ার পর কেন্দ্র সরকার বাংলাকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দেয়। ১৯৫২ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী হন বিধানচন্দ্র রায়, এই কারণেই তাঁকে অনেক ক্ষেত্রে বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বলা হয়ে থাকে।

দেখুন টুইট