কলকাতা : ‘বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ, চিংড়ি কচি লাউ...’ কেউ খেতে ভালবাসেন, কেউ বা খাওয়াতে। বাঙালির আত্মপরিচিতির বেশ অনেকটাই খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। দেশভাগ, ভিটেমাটি ছাড়া এসবের মধ্যেও ভোজন রশিক বাঙালি তৈরি করেছে একের পর এক অনন্য সাব্দের খাবার । ২০ জুন পালন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস। এপার বাংলার মানুষের জন্য দিনটি দিনটি অনেক গর্বের, কারণ ১৯৫০ সালে এই দিনটিতে পশ্চিমবাংলা রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। এই গৌরবময় দিনটি উদযাপনের জন্য বাঙালির কয়েকটি অমুল্য খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ইলিশ বা ভাপা ইলিশ

ইলিশ মাছের নামেই তো জিভে জল এসে যায়। ইলিশ (Ilish) দিয়ে আপনি পছন্দ মতো যেকোনও পদ বানিয়ে ফেলতে পারেন। সে ইলিশ ভাজা হোক বা রান্না বা ভাপা। ইলিশ পাতে এক দানা ভাতও পড়ে থাকবে না।

 বিরিয়ানি

বিরিয়ানি এমন এক শব্দ যার আলাদা করে আর কোন পরিচয় লাগে না। কথায় বলে, বিরিয়ানিতে আলু ব্যবহারের কপিরাইট নাকি শুধু মাত্র কলকাতারই আছে। এ কথা মজা করে বলে থাকলেও, এই যথোপযুক্ত সত্যতা আছে। অনেকে বলেন, বিরিয়ানিতে আলুর প্রচলন নাকি নবাব ওয়াজিদ আলি শাহই করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে বিতর্কও রয়েছে। বিতর্কের ধার ধারে না কলকাতার ভোজন রসিক মানুষজন। বিরিয়ানির স্বাদ-গন্ধকে অনেক আগেই এ শহরের মানুষ আপন করে নিয়েছেন।

আলু পটল পোস্তো

এটি আলু দিয়ে তৈরি একটি সাধারণ বাঙালি খাবার যা পোস্ত বীজের পেস্ট দিয়ে রান্না করা হয়। এটি গরম ভাতের সঙ্গে একটি লোভনীয় খাবার।

শুক্ত

বাঙালির সামাজিকতায় বরাবরই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়ে এসেছে এই পদটি। বেগুন, কুমড়ো, কাঁচকলা, মোচা, পেপে, উচ্ছে, বড়ি আর গুঁড়ো বা বাটা মশলা দিয়ে বানানো এই পদটি বাঙালির চিরসঙ্গি।

সন্দেশ

বাঙালির মতো মিষ্টান্নপ্রেমী জাতি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। বিভিন্ন বাহানাতে বাঙালি মিষ্টি খাওয়ার সুযোগ খোঁজে। অনুষ্ঠান বাড়ি হোক বা পাতে , বাঙ্গালীর মিষ্টি চাইই। ছানার মিষ্টির তুলনায় সন্দেশ অনেক প্রাচীন একটি মিষ্টি ।