কলকাতা, ১২ জুন, ২০১৯: প্রবল গরমে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার হাটতলায় সানস্ট্রোকে মৃত্যু হল একজনের। গরমে রাজ্যে এই প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এলো। গতকাল ঝাঁসিতে ট্রেনের মধ্যেই চার যাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গোটা উত্তর ভারত জুড়ে চলেছে তাপ প্রবাহ। রাজ্যেও গরম(Heat) কমার কোনও লক্ষণ নেই। বুধবারও এরকম গরম চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। রাতের দিকে আর্দ্রতা বেড়ে গিয়ে বাড়বে অস্বস্তি। তবে বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত ঝড়–বৃষ্টি (Rain)হতে পারে।
কেরলে বর্ষা শুরু হয়ে গেছে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ প্রায় শেষ। এ রাজ্যে বর্ষা শুরু হবে কবে? আবহাওয়া দপ্তর(Weather Office) জানিয়েছে, মৌসুমি হাওয়ার প্রবাহ শুরু হলেও তা খুবই দুর্বল। ফলে প্রাক্–বর্ষার যে–পরিস্থিতি এ রাজ্যে শুরু হওয়ার কথা, তা এখনও শুরু হতে পারেনি। প্রাক্–বর্ষায় মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হয়। তাতে হাওয়ায় আর্দ্রতা বাড়লেও বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে। ফলে সাময়িক স্বস্তি মেলে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে। এর পাশাপাশি বিহার ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গড়ে উঠেছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। তার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে হিমালয়–সংলগ্ন অঞ্চলেও তৈরি হয়েছে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত। এই তিনটির টানে দক্ষিণবঙ্গের হাওয়ায়–থাকা জলীয় বাষ্প সরে যাচ্ছে বিহার ও সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের দিকে। উত্তর–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গড়ে উঠেছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি দক্ষিণবঙ্গের হাওয়ায় জলীয়, বাষ্প এবং মেঘ সরবরাহ করছে। সে–কারণে মাঝেমধ্যে আকাশে মেঘের আনাগোনা হচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ ও সংলগ্ন অঞ্চলে দানা–বেঁধে–থাকা জোড়া ঘূর্ণাবর্তের টানে তা ভেসে চলে যাচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ঝরাতে পারছে না।