রণক্ষেত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। Photo Source: ANI

বীরভূম, ১৭ অগাস্ট: সোমবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। পৌষমেলার (Poush Mela) মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টানতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, 'নিরাপত্তা মজবুচ করার জন্য বিশ্বভারতী চত্বরে ফেন্সিং তৈরি করা হচ্ছে। এতে কারওর কোনও সমস্যা হবে না।' গত পরশুদিন থেকে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে রাখার জন্য পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেই প্রতিবাদেই শান্তিনিকেতন-বোলপুর থেকে কমবেশি হাজার খানেক লোক এসে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। গোটা ঘটনাটির চরম প্রতিবাদ জানান তারা। পাঁচিল তৈরির জন্য যেকটি ইট গাঁথা হয়েছিল। সেই সবকটিই ভেঙে ফেলা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর একটি গেটও। অস্থায়ী ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হাজির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরিও।

পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ফোন করে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপরই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, 'বিশ্বভারতী এবং বাংলার ঐতিহ্য এবং গৌরব যাতে নষ্ট না হয় সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে। তবে বিশ্বভারতী একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় এবং পড়ুয়াদের মধ্যে বৈঠক করে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি মেটানো হোক।'

সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। রবিবার প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি পাঁচিল তৈরির কাজে বাধা দেয়। এরপর বেলা বাড়তে থাকলে শ'য়ে শ'য়ে মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাজির হন। নিজেরাই বুলডোজার চালিয়ে একের পর এক গেট ভেঙে চুরমার করে দেন জনতারা। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বর্তমান পড়ুয়ারাও।