![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2020/02/14-380x214.jpg)
কলকাতা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: মঙ্গলবার মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam 2020) প্রথম দিনের পরীক্ষা। গড়িয়ার (Garia) বালিয়া নফরচন্দ্র গার্লস স্কুলের ছাত্রী অর্পিতা হালদারের (Arpita Halder) সিট পরেছিল হরিমতী দেবী গার্লস স্কুলে। মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা দিতে পৌঁছে যাওয়ার পর অর্পিতার মনে পড়ে, অ্যাডমিট কার্ড স্কুল থেকে সে তুলতেই পারেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে আর ঘণ্টাখানেকও বাকি নেই৷ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে না পারার আশঙ্কায় কার্যত কেঁদে ফেলেন অর্পিতা। তাঁর বাড়ির লোকজনও অসহায় হয়ে পড়েন। শেষমেশ ট্র্যাফিক পুলিশের সাহায্যে পরীক্ষা দিতে পারে অর্পিতা। এই কাজ করতে পেরে খুশি ট্র্যাফিক পুলিশ ৷ পুলিশের এই মানবিক মুখ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রত্যক্ষদর্শীরাও।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে বেশি দেরি নেই। স্কুলগুলির সামনে আস্তে আস্তে ভিড় বাড়ছে পরীক্ষার্থীদের। সঙ্গে রয়েছেন তাদের অভিভাবকরাও। গড়িয়ায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছিলেন বারুইপুর (Baruipur) পুলিশ জেলার ডিএসপি মহম্মদ কুতুবুদ্দিন (Mohammad Kutubuddin)৷ হঠাৎই তাঁর চোখ যায় হরিমতী দেবী গার্লস স্কুলের সামনে কাঁদছে একটি মেয়ে। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে মেয়েটি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসেছে। এই স্কুলেই তার সিট পড়েছে। যদিও অ্যাডমিট কার্ড আনতে পারেনি সে ৷ স্কুল থেকে অ্যাডমিটটা তুলতে পারেনি সে৷ বিষয়টটি জানতে পেরেই কুতুবউদ্দিন খানের নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গে সোনারপুর ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টবেল রতন বিশ্বাস মেয়েটিকে বাইকে বসিয়ে গড়িয়ার বালিয়া নফরচন্দ্র গার্লস স্কুলে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড তুলে আনেন। স্কুল থেকে অ্যাডমিট নিয়ে পুলিশের বাইকে চেপেই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকে অর্পিতা। তাও আবার পরীক্ষা শুরুর মিনিট পনের আগেই ৷ আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2020: সতর্কতাকে বুড়ো আঙুল! মাধ্যমিকের প্রথমদিনেই পাঁচিল বেয়ে সাপ্লাই হল টুকলি
প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডিআই (হায়ার সেকেন্ডারি) অনিন্দ্য চ্যাটার্জি। তবে পরীক্ষা দেওয়ার পর রসপুঞ্জ জ্ঞানদাময়ী বালিকা বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে বিদ্যানগর মাল্টিপারপাস স্কুলের এক পরীক্ষার্থী। তাকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পোলেরহাট হাইস্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ে ইসমাতারা খাতুন নামে এক ছাত্রী। তাকে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হাতে স্যালাইন নিয়ে সে পরীক্ষা দেয়।