মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী(Photo Credits: Social Media)

কলকাতা, ২৯ ডিসেম্বর: বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে দলবদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই সড়গরম রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অমিত শাহর আগমন ও অমর্ত্য সেনকে ঘিরে জমি বিতর্ক ফের শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির তরজা জিইয়ে রেখেছে। স্বাভাবিকভাবেই আজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বছর শেষের এই দুই রোড শো। আজ বোলপুরে রবীন্দ্র ভাবনাকে কেন্দ্র করে রোড শো করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে একই দিনে নন্দীগ্রামে নিজের সমর্থন আদায়ে পথে নামছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দাপুটে রাজনীতিক শুভেন্দু অধিকারী। বলাবাহুল্য বর্ষ শেষে দাদাদিদির এই রোড শো যে তুল্যমূল্য বিচারে নজর কাড়বে তাতে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।

রোড শোর আগের দিন নাম না করেই বিজেপিকে বোলপুরে দাঁড়িয়ে বহিরাগত আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বীরভূমের দুবরাজপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইপাস না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিশানাও করলেন তিনি। এখন আর “দুয়ারে সরকা”র নয় এবার সমস্যা সমাধানে “পাড়ায় পাড়ায় সরকার।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নতুন কর্মসূচি চলবে। সম্প্রতি বোলপুরে রোড শো করে গেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেই রোড শোতে জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপরেই বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রীর রোড শো করার কথা ওঠে। বিরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, দিদির রোড শো হবে। তবে বাইরে থেকে কোনও লোক আসবে না। বোলপুরে এই রোড শোতে আড়াই লক্ষ জনতা যোগ দেবে। এদিকে আজকের রোড শোতে থাকছে তিনটি ট্যাবলো। সেই ট্যাবলোতে রবীন্দ্র সংগীত গাইবেন শিল্পীরা। শেষ গান থাকবে আশ্রম সংগীত “আমাদের শান্তিনিকেতন”। অনুষ্ঠানের তদারকি করতে রবিবার থেকেই বোলপুরে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সংগীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। আজ রোড শোয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দকে হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরও পড়ুন-SL Dharmegowda Dies by Suicide: দুঃসংবাদ! রেললাইনে আত্মঘাতী কর্ণাটক বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার এসএল ধর্মেগোয়াদা

অন্যদিকে মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামে পথে নামছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ নন্দীগ্রামে তাঁর অরাজনৈতিক সভা করার কথা। রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কি বলছে, না বাংলাকে মোদির হাতে তুলে দিতে হবে। বাংলা কী আলু, পেয়াঁজ, টম্যাটো, না জয়নগরের মোয়া। এক বাপের ব্যাটা হলে ডায়মন্ডহারবার তুলে দেখা না। শোনা যাচ্ছে আজকের সভায় এসবেরই আক্রমণাত্মক জবাব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী।”