উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা জেলা ভগবান রামের জন্মস্থান এবং রামলালা মন্দিরের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। প্রতি বছর ভারত ও বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের দর্শনে। রাম মন্দির নির্মাণ এবং রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর, অযোধ্যা একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান এবং পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠিত হয় রামলালার, যার পর থেকে ভক্তদের মধ্যে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় এই স্থানটি। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বার্ষিকী পালন করা হবে ২০২৫ সালে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে পরিকল্পনা করা যেতে পারে অযোধ্যা ভ্রমণ এবং রাম মন্দির পরিদর্শনে।
রেলপথে যাওয়া যেতে পারে অযোধ্যা, দেশের প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সুসংযুক্ত অযোধ্যা জংশন। এছাড়াও লখনউ, বারাণসী এবং প্রয়াগরাজ থেকে সরাসরি বাস পরিষেবা রয়েছে। অযোধ্যার নিকটতম বিমানবন্দর হল শহরের মঙ্গল পান্ডে বিমানবন্দর অথবা লখনউ বিমানবন্দর থেকেও অযোধ্যায় ভ্রমণ করা সম্ভব। অযোধ্যা থেকে লখনউয়ের দূরত্ব প্রায় ১৩৪ কিলোমিটার, যা ট্যাক্সি বা বাসে করে অতিক্রম করা যায়। অযোধ্যায় বাজেট ভ্রমণ করতে চাইলে থাকার জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে ধর্মশালা। অযোধ্যায় অনেক ধর্মশালা আছে, যেখানে থাকার জন্য দৈনিক ভাড়া ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা হতে পারে।
অযোধ্যায় বাজেট হোটেলও পাওয়া যায়, যেখানে প্রতি রাতের জন্য প্রয়োজন ৮০০ থেকে ১,৫০০ টাকা। এগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বুকিং করা সম্ভব। অযোধ্যায় খাঁটি নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। রাস্তার ধারের ধাবা এবং ছোট রেস্তোরাঁগুলিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় থালি পাওয়া যায়। রামলালা মন্দিরের দর্শনের সময় হল সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, দর্শনের জন্য খুব ভোরে সারিতে পৌঁছাতে হয়। রামলালা দেখতে গেলে অবশ্যই হনুমানগড়ি মন্দির ঘুরে আসতে হবে। এছাড়াও কনক ভবন, সরযূ ঘাট, বিশেষ করে আরতির সময় এবং গুপ্তর ঘাট পরিদর্শন করা যেতে পারে।