কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের (Victoria Memorial) নেতাজি (Subhas Chandra Bose) সংগ্রহশালায় স্থান পাওয়া একটি চিঠিকে ভুয়ো বলে দাবি করলেন নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারপার্সন সুগত বসু (Netaji Research Bureau chairperson Sugata Bose)। ১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু । সেই পদত্যাগ সংক্রান্ত যে চিঠিটি ভিক্টোরিয়ার নেতাজি সংগ্রহশালায় স্থান পেয়েছে তা আদতে নেতাজির লেখা নয় বলে দাবি তাঁরা।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালর কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্তকে লেখা চিঠিতে সুগত বসু জানিয়েছেন যে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ কোনওদিনই ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের কাছে নেতাজির পদত্যাগ পত্রের অনুলিপি চায়নি। তাই যা প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে সেটি একটি জাল চিঠি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং শিসির বুসর পুত্র আরও বলেছেন যে, আইসিএস থেকে নেতাজির পদত্যাগপত্রের আসল ফটোকপিটি প্রায় ৫০ বছর ধরে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর কাছে রয়েছে। তিনি কর্তৃপক্ষকে জাল চিঠিটি অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সুগত বসুর দাবি, ওই জাল চিঠিটি নেতাজি রিসার্চ ব্যুরেরা কাছ থেকে পাওয়া গেছে বলে লেখা আছে। এটা অবাক করার মতো। আরও পড়ুন: Narendra Modi at Haldia Live: 'তৃণমূল একের পর এক ফাউল করছে, বাংলা খুব দ্রুত তাদের রামকার্ড দেখাবে', হলদিয়ায় বললেন নরেন্দ্র মোদি
সুগত বসু চিঠিতে জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালে নেতাজির (Netaji) নিজের হাতে লেখা আসল চিঠিটি লন্ডনের ইন্ডিয়া অফিস অফ রেকর্ডসে খুঁজে পান শিশির কুমার বসু এবং কৃষ্ণা বসু। সুগত বসু আরও জানান, তাঁর মা, নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র কৃষ্ণা বসুর ‘ইতিহাসের সন্ধানে’ বইয়ে আসল চিঠিটি ছাপানো আছে। তাঁরা লন্ডন থেকে নেতাজির পদত্যাগের চিঠির ফটোকপি সংগ্রহ করেছিলেন। চিঠিটি প্রায় ৫০ বছর ধরে নেতাজি ভবনে প্রদর্শিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, "জাল আইটেমটি কে তৈরি করেছিল সেটা আপনাদের খতিয়ে দেখা উচিত কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নকল আইটেমটি সহ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন, তা অত্যন্ত বিব্রতকর। এছাড়াও মহম্মদ জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে নেতাজিকে প্রদর্শন করা ছবিগুলিও নকল। ছদ্মবেশে নেতাজির কোনও ছবি তোলা হয়নি বা তাঁর মহানিষ্ক্রণের সময় তোলা হয়নি। যদিও দেখা যাচ্ছে যে আপনাদের দ্বারা প্রদর্শিত অনেকগুলি ছবি এবং চিঠিপত্রের প্রকৃত চিত্রগুলি প্রকৃতপক্ষে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর আর্কাইভ থেকে ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে উৎসর্গীকৃত প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কখনই এনআরবি-র কাছে প্রদর্শনীতে সাহায্য করার জন্য যোগাযোগ করেনি। আপনার যে ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন সে সম্পর্কে আমি তাই বিস্মিত।" ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে সুগত বসু বলেছেন, "আমাদের মহান নেতার সম্মান করার কোনও উপায় এটি নয়।" তিনি পিটিআইকে বলেছেন, চিঠির উত্তরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের তরফ এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।