Nabanna. (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ৯ নভেম্বর: দুর্গাপুজো (Durga Puja), কালীপুজো (Kali Puja) শেষে এবার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja)-র পালা। চন্দননগর (Chandan Nagar), কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) জগদ্ধাত্রী পুজো গোটা দেশে জনপ্রিয়। কিন্তু করোনা কালে সব উতসবের মত জগদ্ধাত্রী পুজো আয়োজন নিয়ে জারি হয়েছে নানা কোভিড বিধি। এতে পুজোর জৌলুস কিছুটা হলেও কমেছে। তবে এবার হুগলি, নদিয়া জেলার জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজকদের জন্য ভাল খবর। পুজোয় যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তাই জগদ্বাত্রী পুজোর দুটো রাতে তুলে নেওয়া হল নাইট কার্ফু। আাগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর, মানে শুক্র ও শনিবার নদিয়া ও হুগলি জেলায় থাকছে না নাইট কার্ফু। ছট পুজো উপলক্ষে ১০ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর আগেই নাইট কার্ফু শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। ওই দু'দিন ষষ্ঠী এবং সপ্তমী।

ফলে ১০ এবং ১১ নভেম্বর রাতেও জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখা যাবে। তবে বাকি কোভিড বিধি সেখানে একই থাকছে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় যাতে নাইট কার্ফু যাতে শিথিল হয়, তা নিয়ে প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন স্থানীয়রা। সেই দাবি রাখা হল। আরও পড়ুন: করোনার মধ্যে ফের বাড়ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দেখুন টুইট

হুগলি, চন্দননগরে পাঁচদিন ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো চললেও শুধুমাত্র শুক্র ও শনিবারই নৈশ নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। জগদ্ধাত্রী পুজোয় জারি হয়েছে নো–এন্ট্রি, নিরাপত্তার চাদরে মুড়েছে গোটা চন্দননগর। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, চলতি বছরে চন্দননগরে মোট ১৩২টি পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভদ্রেশ্বর অঞ্চলেও ৬৩টি জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুমতি পেয়েছে। চন্দননগর–ভদ্রেশ্বরে নো–এন্ট্রির পাশাপাশি কোভিড–১৯ বিধিনিষেধ জারি থাকবে। ৯ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চন্দননগর–ভদ্রেশ্বরে জিটি রোড নো–এন্ট্রি থাকবে। তবে দুপুরের দিকে খানিকটা শিথিল করা হতে পারে।