
কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর: নারদ তদন্তে (Narada cse) সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল। কিন্তু তিনি আজ হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy)। শুক্রবার সিবিআই-ক চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছেন মুকুল রায়। ২৪ ঘণ্টার খবরে প্রকাশ, চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) আসায় ব্যস্ত থাকবেন তিনি। আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই-র কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ধৃত আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জ়ার (SMH Mirza) মুখোমুখি বসিয়ে মুকুলকে জেরা করতে চায় সিবিআই। এদিকে মুকুলের চিঠি পাবার পর জবাবি চিঠিতে আগামীকাল তাঁকে নিজ়াম প্যালেসে আসতে বলা হয়েছে বলে খবর।
২০১৪ সালে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল ((Mathew Samuel)) ব্যবসায়ী সেজে স্টিং অপারেশন করেছিলেন বলে দাবি করেন। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা ডট কম নামের এক ওয়েবসাইটের স্টিং অপারেশনে রাজ্যের মন্ত্রী-আমলাদের অর্থ নেওয়ার ছবি ধরা পড়ে। মদন মিত্র থেকে ফিরহাদ হাকিম, অপরূপা পোদ্দার-দের মত নেতা-মন্ত্রী-সাংসদের সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপরাশনে টাকা নিতে দেখা যায়। ঘুষ নেওয়ার ভিডিওকে তৃণমূল জাল বলে দাবি করে এলেও পরবর্তীকালে চণ্ডীগড়ের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভিডিওর ফুটেজ খাঁটি। টাকা নিতে দেখা গেছিল এসএমএইচ মির্জ়াকেও। সেই সময় তিনি বর্ধমানের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। ওই ভিডিও থেকেই জানা যায়, মির্জ়া ম্যাথু স্যামুয়েলের (Mathew Samuel) কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের করা এফআইআরে ১২ নম্বরে নাম রয়েছে ওই পুলিশ কর্তার। কেন তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন, কারও নির্দেশে টাকা নিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়ে তাঁকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। পরে তাঁর বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আরও পড়ুন: PM Modi vs Imran Khan at UNGA Today: নরেন্দ্র মোদি বনাম ইমরান খান, কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় উঠতে চলেছে বড়সড় ঝড়
বৃহস্পতিবার নিজা়ম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় মির্জ়াকে। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই জানিয়েছে। কেন তিনি টাকা নিয়েছিলেন। সে বিষয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।