কলকাতা, ১১ জুলাই: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Narendra Modi) চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও ইউজিসি-র নতুন গাইডলাইন নয়, পুরনো গাইডলাইন মেনেই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করতে চায় রাজ্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন যাতে তিনি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন ও আগের গাইডলাইন বহাল রাখা হয়।
গত সপ্তাহে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শেষ সেমেস্টারের পরীক্ষা নিয়ে নতুন গাইডলাইন জারি করে UGC। তাতে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। তা অনলাইনে হতে পারে অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অফলাইনেও হতে পারে। য়দিও আগের অ্যাডভাইজরিতে UGC বলেছিল, আগের সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে পারবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। UGC-র এই নতুন গাইডলাইনের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার। করোনার আবহে কোনওভাবেই সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। আরও পড়ুন: WB Education Minister Partha Chatterjee Writes UGC: নতুন গাইডলাইন মেনে সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা কীভাবে? UGC-কে চিঠি রাজ্যের
UGC’র নতুন গাইডলাইনে আপত্তি তুলে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি পাঠান রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। কোভিড পরিস্থিতিতে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া মুশকিল। রাজ্য যা করেছে, তা ইউজিসি-র আগের সুপারিশের নিয়ম মেনেই করেছে।। পরীক্ষার ফল দ্রুত না বের করলে অনেকের সমস্যা হবে। শুধু তাই নয়, শিক্ষা একটি যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। কীভাবে সেখানে ইউজিসির চিঠিতে পরীক্ষা নেওয়া আবশ্যিক বলা হল? তা নিয়েও চিঠিতে প্রতিবাদ করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ইউজিসির নতুন নিয়ম কার্যকর না করে পুরোনো নিয়ম যা রাজ্য মেনে চলেছে, সেটাই বজায় রাখা হোক। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান রাজ্যপালও। সেই মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়। রাজ্যপালকেও উপাচার্যরা জানান যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার প্রধানমন্ত্রীকেই সরাসরি চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর লিখেছেন, পড়ুয়ারা দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাঁদের ক্যারিয়ার এবং সুস্থতাই প্রশাসনের অগ্রাধিকার। এই অবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া মানে তাঁদের বিপদের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়া। তাই সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। পরীক্ষা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের যে সিদ্ধান্ত, তা এককভাবে নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞ, অভিভাবক এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনার করেই বিকল্প পথ খুঁজে বের করা হয়েছে।