Photo Credits: ANI

কলকাতা, ২৫ জুন: ২০১১ সালে বাংলায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কখনও পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত মমতা পঞ্চায়েতে ভোটের দায়িত্ব দলের নেতাদের কাঁধেই দিয়েছিলেন। তবে এবার মমতা পঞ্চায়েতের প্রচারে বের হচ্ছেন। আগামিকাল, সোমবার মমতা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন কোচবিহারের চাঁদমারি থেকে। এই কোচবিহার থেকেই নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

উত্তরবঙ্গে আরও কয়েকটি সভা করার কথা দিদির। পটনায় বিরোধীদের মহাবৈঠকের পর দ্বিগুণ উতসাহে নামছেন মমতা। এবার পঞ্চায়েতে বিরোধীরা বেশ ভালই প্রার্থী দিতে পেরেছে। গ্রামের ভোটে দিদিকে খালি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। দিদি সেই চ্য়ালেঞ্জটা নিয়ে প্রচারে নামছেন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে।

২০১৩ ও ২০১৮-দুটো পঞ্চায়েতে কখনও মুকুল রায়, তো কখনও সুব্রত বক্সিদের কাঁধেই তৃণমূলকে গ্রামীন ভোটে জেতানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। তবে এবার মমতা নিজে থেকেই পঞ্চায়েতে প্রচারে বের হওয়ার কথা বলেন। গতবারের ভুলটা এবার আর না করে অনেক আগে থেকেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে চান দিদি। ২০১৯ লোকসভা বিজেপি বাংলা থেকে ১৮টি লোকসভা আসনে জিতেছিল। শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বেশ ভাল ভোট পেয়েছিল বিজেপি। মমতা আর সেটা চান না। আর তাই বাংলার গ্রামের মানুষের মমতা পাওয়া দিদি পঞ্চায়েত থেকেই জোর প্রচার করতে চাইছেন। গ্রামের মানুষের উন্নয়নে তার সরকারের কাজ, কেন্দ্রের বঞ্চনা, ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখার পাশাপাশি বিজেপি-র সাম্প্রদায়িক দিকের কথাও পঞ্চায়েতে তুলে ধরবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। লোকসভা ভোটের আগে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০২১ বিধানসভায় জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া দিদি। মমতার পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ। যে উত্তরবঙ্গে গত লোকসভায় সব আসনে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। বিজেপির শক্তির জায়গা সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই প্রচার শুরু করছেন মমতা।

এবার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী ছিল ৮ হাজার। তাদের মধ্যে দলের কঠোর নির্দেশে ৫০% মনোনয়ন তুলছেন। নির্দল প্রার্থী হওয়ায় দুশো জনেরও বেশী কর্মীকে বহিষ্কার করেছে রাজ্যের শাসক দল।