মমতাকে পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের। (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ২৯ জুলাই: 'Didi Ke Bolo' দিদিকে বলো...মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবার শুধু একটা ওয়েবসাইট লিঙ্ক বা ফোন কল দূরে। জনগণের অভিযোগ এবার সরাসরি শুনবেন দিদি। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের টোটকায় তৃণমূলে বদলের হাওয়া পরিষ্কার চোখে পড়ল। বেশ কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে কাছের মানুষ মমতা-কে কিছুটা তো দূরে সরেইছেন।

তাঁকে আবার জনগণের মাঝে ফেরাতে পিকে-র টোটকা 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি। যে কর্মসূচির সূচনা করলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পর ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায় দিদির ওপর অভিমান হয়েছে কর্মী-সমর্থকদের। দিদির কাছে যাওয়া নাকি একেবারেই কটিন হয়ে গিয়েছে। আর তাই এবার ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে বা www.didikebolo.com-এ গিয়ে জানানো যাবে অভিযোগ। আরও পড়ুন-মধ্যবিত্তদের ধাক্কা দিয়ে FD-তে সুদের হার কমাল SBI

হোলটাইমার রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করে, রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে নয়া পন্থা নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের বন্ধন আরও জোরদার করতে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি চালু করতে চলেছে তৃণমূল। এই কর্মসূচির অধীনে প্রকাশ করা হয়েছে একটি ফোন নম্বর ও একটি ওয়েবসাইট। সেখানে নিজেদের অভাব- অভিযোগ-সাজেশান বিস্তারিতভাবে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে বা ww.didkebolo.com-এ গিয়ে জানানো যাবে অভিযোগ।

এই কর্মসূচির অধীনে আগামী ১০০ দিনে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে যাবেন তৃণমূল নেতারা। নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি গ্রামে রাত কাটাবেন তাঁরা। কে কোন গ্রামে যাবেন তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। গ্রামে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা কথা বলবেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। কথা বলবেন গ্রামের গুণী মানুষদের সঙ্গে। রাতে কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে সদলবলে নৈশাহার সারবেন তাঁরা। গ্রাম ছেড়ে বেরোনোর আগে উত্তোলন করবেন দলীয় পতাকা।