West Bengal Monsoon 2020: ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ, ধস নেমে বন্ধ দার্জিলিংয়ের রাস্তা
প্রতীকী ছবি(Photo Credits: IANS)

দার্জিলিং, ২৯ জুন: একে জুনের শেষ সপ্তাহে একেবারে হাঁকডাক করে রাজ্যে এল বর্ষার মরশুম। ভারী বৃষ্টিপাতে নাজেহাল গোটা উত্তরবঙ্গ। ইতিমধ্যেই টানা বৃষ্টির জেরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। এই ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্থানীয় রিম্বিক ও লোধামা এলাকার সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান রাস্তাটি। রবিবার দুপুরে রাস্তায় ধস নামতেই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। এই রাস্তাটি সাম্প্রতিক কালে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনরায় সংস্কার করা হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের তরফে রাস্তা পরিষ্কার ও সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলেন, ‘মৌসুমি অক্ষরেখা উত্তরে সরে যাওয়ায় সেখানেই বর্ষা সক্রিয় ছিল। তুলনায় দুর্বল ছিল দক্ষিণবঙ্গে। সাধারণত, বর্ষা কিছুটা দুর্বল হলেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়। উল্লম্ব মেঘের উচ্চতা বেশি থাকায় ঘন ঘন বজ্রপাতও হয়। বর্ষা আবার সক্রিয় হয়ে উঠলে বজ্রপাত কমে আসবে।’ কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের আকাশে একাধিক বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ সৃষ্টির ফলেই এই প্রবল বর্ষণ। এক-একটি মেঘপুঞ্জের উচ্চতা ছিল ৭-৯ কিলোমিটার। তার ফলেই ঘনঘন বাজ পড়েছে। রবিবার উত্তর শহরতলির দমদমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হয় ১২৯ মিলিমিটার। তবে সর্বত্র বৃষ্টির পরিমাণ এতটা নয়। আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২৫ মিলিমিটার, সল্টলেকে ২৪ মিলিমিটার। মহানগরের অন্যত্রও দমদমের মতো প্রবল বৃষ্টি হয়নি। শুধু বৃষ্টি নয়, বজ্রপাতও হয়েছে মুহুর্মুহু। আরও পড়ুন-Terror Attack At Pakistan Stock Exchange: পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জে জঙ্গি হামলায় হত ২, খতম ৩ জঙ্গিও

অক্ষরেখা ধীরে ধীরে দক্ষিণে সরার ইঙ্গিত দিচ্ছে। রবিবার কিছুটা সরেও এসেছে। তাই বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলির উপর বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে। কালবৈশাখীর সময় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে মেঘ সরে, এক্ষেত্রে হচ্ছে উল্টোটা। মেঘ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বায়ুপ্রবাহও নেই। ফলে মেঘপুঞ্জ একই জায়গায় প্রায় দাঁড়িয়ে থেকে বৃষ্টি দিচ্ছে। এ দিন দমদমের ক্ষেত্রে ঠিক তাই-ই হয়েছে। তাই সল্টলেক বা আলিপুর কোথাওই সমতুল বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা জারি থাকবে সোমবারও। আবহবিদদের একাংশের মতে, বায়ুমণ্ডলের নীচের ও উপরের স্তরে তাপমাত্রার অনেক ফারাক ছিল। তাই জলীয় বাষ্প দ্রুত ঘনীভূত হতে পেরেছে। জলীয় বাষ্পের জোগান অফুরন্ত, তাই মেঘের আকার বেড়েছে এবং বর্ষণ হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। এ দিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।