পুজোর আগেই নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা
কলকাতার বৃষ্টির ফাইল ছবি।(Photo Credits: Wikimedia)

কলকাতা, ২৪ সেপ্টেম্বর: পুজোর আর মাত্র ৯ টা দিন বাকি। এদিকে শরতের আকাশ যেন মেঘ রোদ্দুরের খেলা ভুলে অন্ধকার করে এল। বৃষ্টি এল, একেবারে ঝেঁপে বৃষ্টি। আলিপুর হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে এ তো বৃষ্টি নয়, ঘোর নিম্নচাপ। আগামী দুদিন ভেজাবে বাংলাকে, পুজোর মার্কেটিংয়ে বাধা পড়ল বলে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। সোমবার রাতে অনেক জায়গাতেই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। মঙ্গলবার সকালে বাকি দক্ষিণবঙ্গেও ঝিরি ঝিরি পড়তে শুরু করে।  সারাদিন মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার পর দুপুরেই হুড়মুড়িয়ে নামল বৃষ্টি।

এদিকে আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসসিয়াস। তবে সকালের দিকে এ দিন তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসসিয়াসের কাছাকাছি। আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৫ শতাংশ। তবুও প্যাচপেচে গরমকে সঙ্গী করে পুজো শপিং সারা যায়, কিন্তু বৃষ্টি নামলে সেই উপায় আর থাকে না। ফুটপাথের দোকানির তো মাথায় হাত, তেমনই পুজোর আগে সিজন শরীর খারাপ এড়াতে অফিস ফেরতা আর নিউমার্কেট চত্বর, গড়িয়াহাট বা হাতিবাগানে তন্বী মহলের ভিড়টা তেমন চোখে পড়বে না। তবুও বৃষ্টি আসবে, তার মধ্যেই চলবে টুকটাক কেনাকাটি। মনে মনে বাঙালি বলবে, হ্যাঁ হ্যাঁ এই বেলা বৃষ্টিটা হয়ে যাক, পুজোর চারদিন শুকনো থাকলেই হবে। তাহলেই তো চুটিয়ে ঠাকুর দেখার সুযোগটা মিলবে। অন্যদিকে নিম্নচাপের গেরোয় মহা বিপাকে কমোরটুলির মৃৎ শিল্পীরা। এখন প্রতিমা শুকিয়ে রং করার সময় নিম্নচাপে তো সেসব আঁধার হতে বসেছে। মণ্প নির্মাণেও পডেছে বাধা, কী আর করা যাবে। আরও পড়ুন-পুজোর আগেই ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট, কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়ায় কত বাড়ল বেতন-গ্রাচুইটি?

আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। হয়েওছে তাই। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে মঙ্গল ও বুধবার শহরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রভাব পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলোতেও। এক ধাক্কায় পারদ কিছুটা নামবে বলেই মত আবহবিদদের। ফলে ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। তবে পুজোর মরশুমে এ ভাবে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় রয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজোর প্ল্যান পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে আম জনতার মনেও।