কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর: পুজোর আগেই প্রকাশ্যে ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট (sixth-pay-commission)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতো সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে নতুন বেতন কাঠামোর বিশদ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। ষষ্ঠ পে কমিশনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আশাকে মান্যতা দিয়ে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কর্মীদের বেসিক বেতন ২.৫৭ গুণ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার তা ২.৮০৯ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ আগে যে বেতন ছিল ১০০ টাকা তা এখন বেড়ে হচ্ছে ২৮০ টাকা ৯ পয়সা। নতুন বেতন কাঠামোতে হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা বাড়িভাড়া ভাতা ঠিক করা হয়েছে মূল বেতনের ১২ শতাংশ। এবং এর সর্বোচ্চ সীমাও বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেডিক্যাল ভাতা ন্যূনতম ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করার পরামর্শ দিয়েছিল বেতন কমিশন। রাজ্য সরকার সেটাকে আরও বাড়িয়ে করল ৫০০ টাকা। এর উর্ধ্বসীমা ২৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। টিফিন খরচ দৈনিক ন্যূনতম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল পে কমিশন। তা আরও বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩০ টাকা করা হল। সর্বোচ্চ পরিমাণ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হল ১৮০ টাকা। বাড়িভাড়ার সর্বোচ্চ সীমা আগে ছিল ৬ হাজার টাকা, যা পে কমিশন সাড়ে দশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছিল। সেই ভাতা রাজ্য সরকার করল সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। গ্র্যাচুইটিতেও বিরাট স্বস্তি, আগে গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৬ লাখ টাকা। যা বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার সুপারিশ করে বেতন কমিশন। রাজ্য সরকার তা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করল। তবে, এতকিছুর মাঝেও একটি বিষয়ে হতাশ হতে হবে সরকারি কর্মীদের। বেতন কমিশন লাগু হলেও সরকারি কর্মীদের কোনও এরিয়ার দেওয়া হবে না। এরিয়ারের বিপুল আর্থিক বোঝা রাজ্য বহন করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, NRC-র আতঙ্কে রাজ্য ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে
জানা গিয়েছে, আগামী ২০২০-র জানুয়ারিতেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকরী হয়ে যাবে। এদিকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যের কোষাগারে ১০ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপবে। নতুন রোপা অর্থাৎ রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স এ সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যাবে। এ জন্য পুরো দমে কাজ চলছে।