কলকাতা, ২৩ অক্টোবর: পূর্বতন কেশরী নাথ ত্রিপাঠীর মতোই বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্ক অনেকটা সাপে নেউলে বললে অত্যুক্তি করা হবে না। রাজ্যের কোথাও বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা সামান্যতম প্রতিরোধের মুখে পড়লেও তানিয়ে সাতাড়াতাড়ি মন্তব্য না করে পিছু হটেন না রাজ্যপাল। যত দিন যাচ্ছে রাজ্যপালদের এহেন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মূলত যাদবপুরের ঘটনার পর তো কেউ কেউ বলছেন সাংবিধানিক পদের কথা ভুলে গিয়ে রাজ্যপাল বিজেপি নেতার মতো আচরণ করছেন। সে যাইহোক নিন্দুকরা অনেক কতাই বলে, সবেতে আর কান দেওয়া যায় না। তবে এবার রাজ্যপালকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত লাগল বলে।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই প্রথম নয়, আগের সব রাজ্যপালের নিরাপত্তা কলকাতা পুলিশের হাতেই ছিল। এই প্রথম সেই ছবি বদলে গেল, এবার থেকে রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকায় থাকবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। নিয়ম বলছে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত। আচমকা তা বদলে গেলে অবশ্যই রাজ্য সরকারকে জানানো উচিত। এদিকে মদার বিষয় হল রাতারাতি সিআরপিএফ রাজ্যপালের নিরাপত্তায় নিয়োগ হলে এ বিষয়ে নবান্নকে কিছুই জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। একরকম না জানিয়ে নিরাপত্তা বলয় বদলে দেওয়ার ঘটনায় বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখে কিছু না বললেও রাজ্যের তরফে মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় সে দিন মুখ খোলেন। রাজ্যপালের যদি মনে হয়ে থাকে তাঁর নিরাপত্তায় যে বন্দোবস্ত রাজ্য সরকার রেখেছে, তা যথেষ্ট নয়, তা হলে রাজ্য সরকারকেই তিনি সে কথা বলতে পারতেন— বলেন সুব্রত। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: সুনীল গাঙ্গুলির প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা ব্যানার্জির টুইট
কেন রাজ্যপালকে এখন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিতে হচ্ছে তানিয়ে প্রশন তুলেছে নবান্ন। এমনকী এর উত্তর জানতে চেয়ে নবান্ন থেকে চিঠি গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। এদিন তৃণমূলরে মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সমালোচনায় মুখর হন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি পার্থবাবু। তবে শুধু চিঠি পাঠিয়ে এই নিরাপত্তার প্রসঙ্গ থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে নারাজ নবান্ন, নিজেদের দায়িত্ব ফেরাতে যে সংঘাতেও রাজি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।