কলকাতা, ১৭জুন: অবশেষে কাটল অচলাবস্থা, এনআরএস থেকে উঠল ধর্মঘট। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছিল ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলের। এই বৈঠকের পর মিটিংয়ের খসড়া নিয়ে এনআরএস-এ যান ডাক্তাররা। সেখানেই বাকিদের সঙ্গে জিবি মিটিং করেন তাঁরা। তারপরই সিদ্ধান্ত নেন ধর্মঘট তুলে নেওয়ার। নবান্ন থেকে এনআরএস-এ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল আসার পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন অপেক্ষারত বাকি আন্দোলনকারীরা। কাঁধে তুলে কয়েকজন ডাক্তারকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভিতর। ‘আমরা কারা……লক্ষ্মী ছেলে’ স্লোগানে মুখরিত হয় হাসপাতাল চত্বর। আরও পড়ুন- কথা রাখলেন, পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এক সপ্তাহ পরে উঠল জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন। এ দিন সন্ধ্যায় প্রেস বিবৃতি দিয়ে ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে আগামী দিনে কোনও ডাক্তার আক্রান্ত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আন্দোলন তুলে নিচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজে ফিরব। আজ রাত থেকেই স্বাভাবিক হবে পরিষেবা।” কিন্তু পাশাপাশি এও বলা হয়, “মুখ্যমন্ত্রী তিনদিন সময় চেয়েছেন। সাময়িক ভাবে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।” ডাক্তাররা বারবার এ দিন একটা কথাই স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ডাক্তারদের কোনওমতেই আক্রমণ করা যায় না। সোমবার নবান্নের বৈঠকেও এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে ডাক্তাররা আক্রান্ত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে নবান্নে হাজির ছিলেন মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কলেজের ৩১ জনের প্রতিনিধি দল। ১২ দফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তাঁরা। বৈঠকের পর ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল জানিয়েছেন, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, এই বৈঠক সদর্থক হয়েছে। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “লক্ষ্মী ছেলেরা, আমার ছোট ভাই-বোনেরা, প্লিজ তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দাও।” বৈঠকের পর কথামতো আক্রান্ত পরিবহকে দেখতে নিউরো সায়েন্সের হাসপাতালে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।